রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা যুবলীগের কমিটি নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার ও রোববার দু’দিন ধরে ফেসবুকে জুয়েল সিরাজীর একটি আইটি থেকে ফের আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে বলে এ প্রতারণা করছেন একটি চক্র। এতে সাবেক আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় মিথ্যা প্রকাশিত নতুন কমিটির লোকজনের সাথে রক্তক্ষয় সংঘর্ষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় সাবেক কমিটির লোকজন সশ্রস্ত্র অবস্থায় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পৌর শহরে মহড়া দিতে দেখা যায়।

এদিকে যাদের নামে ফেসবুকে কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় যুবলীগ ও জেলা যুবলীগের একাধিক নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রকাশিত কমিটির সত্যতা পাওয়া যায়নি। এটি মিথ্যা বলে দাবি করেন তারা। যাদের নামে প্রকাশ করা হয়েছে তারাও প্রকাশিত কমিটির কোন সত্যতা দেখাতে পারেনি।
জানা যায়, গত ২০১১ মার্চ কাররুল হাসান রাছেলকে আহ্বায়ক ও আরিফুর রহমান, বায়েজিদ ভূঁইয়াকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য রায়পুর উপজেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করেন লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগ। পরে কেন্দ্র থেকে সম্মেলন করে রায়পুর উপজেলা কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলে। ১৭ অক্টোবর ২০১৪ইং তারিখে জেলা যুবলীগ উদ্যোগে রায়পুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে ২৩ অক্টোবর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষনা করেন। এতে সাবেক উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য একটি কমিটি করে দেয় লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগ। এর পর থেকে সম্মেলন ও কোন কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। গত দু’দিন ধরে ফেসবুকে পৌর ছাত্রদলের নেতা জুয়েল সিরাজী নামের একটি আইটি থেকে মঞ্জুর হোসেন সুমনকে আহ্বায়ক ও ইউসুফ আজমকে, লিটনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষনা করেন বলে ওই আইডিতে দেখা যায়। তবে এ কমিটি কেউ যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নয় এবং তারা সবাই ঢাকায় বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত। এতে সাবকে আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করেন। তারা শনিবার সন্ধ্যায় রায়পুর পৌর শহের সশ্রস্ত্র অবস্থায় মহড়া দিয়ে ভূয়া কমিটির লোকজনকে খুজা খুজি করে। যে কোন সময় রক্তক্ষয় সংঘর্ষ হতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে রায়পুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান রাছেল বলেন, রায়পুরের যুবলীগের রাজনীতির সাথে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জড়িত থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু যাদের নাম এখন শুনা যাচ্ছে তারা কেউ রায়পুরে কোন রাজনীতির সাথে রাজপথে থেকে কোন উল্ল্যেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। কিন্তু তাদেরকে ২৩ বঙ্গবুন্ধ এভিনিউ ও ফেসবুকেই দেখা যায়। রায়পুরে যুবলীগ সু-সংগঠিত হওয়ায় একটি চক্র কেন্দ্রীয় যুবলীগের কথিত এক সদস্যকে নিয়ে কমিটি দিয়েছেন বলে এ মিথ্যা চার করছেন। তারা অতিতেও যুবলীগ যখন ঘুরে দাড়ায় তখন এই ধরনে ষড়যন্ত্র করে থাকেন।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু বলেন, জেলা যুবলীগের সাথে যোগাযোগ ছাড়া কেন্দ্র থেকে কোন কমিটি ঘোষনা করা হয় না। যুবলীগের সুনাম ক্ষূন্ন করার জন্য এ মিথ্যাচার করছে। কেন্দ্র থেকে এ ধরনের কোন কমিটি ঘোষনা করা হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের একাধিক নেতারাও এ কিমিটির কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

(এমআরস/পিবি/জানুয়ারি ২৫,২০১৫)