রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সুযোগে জামায়াত-শিবির, যুবদল ও ছাত্রদলকর্মীরা রায়পুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর করে থাকেন। গত ১২ দিনে রায়পুর থানার সামনেসহ উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে অর্ধশতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর করে। এতে করে স্থানীয় সিএনজি চালকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক ।

স্থানীয় সিএনজি মালিক সমিতির কয়েকজন নেতা অভিযোগ করে বলেন, রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মন্জুরুল হক আকন্দকে নাশকতাকারী বিএনপি-জামায়াতের নেতারা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নিয়েছে। ওসির প্রশ্রয়ের কারনেই থানার সামনে এসে গাড়ী ভাংচুর করে নিরাপদে চলে যায় অববরোধ সমর্থকরা।

সিএনজি চালকরা জানায়, রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের সোনাপুর, রাখালীয়া, বাস টার্মিনাল, রায়পুর-হায়দরগঞ্জ সড়কের সোলাখালি, রায়পুর-রামগঞ্জ সড়কের জোড়পুল, রায়পুর-ফরিদগঞ্জ সড়কের বোয়ার্ডার বাজার সড়কের আশপাশ এলাকায় গত ৬ জানুয়ারী থেকে মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারী) সকাল পর্যন্ত অধশতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর করা হয়েছে।

গত বুধবার দুপুরে বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে মাথায় হেলমেট পরা ৬ যুবক লাঠি হাতে নিয়ে এসে থানার সামনে রাখা আটটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুরের করে চলে যায়। এঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় বাস টার্মিনাল এলাকার বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলা পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এরআগে শহরের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় শিবির নেতা পরানের নেতৃত্বে দৌড় মিছিল থেকে কয়েকটি সিএনজিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় পুলিশ কোন শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বামনী ইউনিয়নের সিএনজি চালক মো. মামুন বলেন, এ কোন দেশে বাস করছি। থানার সামনেই সিএনজি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। দেশে কি প্রশাসন বলতে কিছু নেই?

পৌর আ’লীগের আহবায়ক ও সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ বলেন, পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারনে মনে হচ্ছে,‘পুলিশ নাশকতাকারীদের ভয় পায়’। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় সিএনজি চালক ও যাত্রীরা খুবই আতঙ্কে আছে। মামলার পরেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রফতার করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, ভাংচুরের ঘটনায় আলম ড্রাইভার নামের এক ব্যাক্তি বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় আসামি ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

(পিকেআর/এএস/জানুয়ারি ২৭, ২০১৫)