সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকার মিরপুর প্লাষ্টিক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত মন্টু ও আল-মাহমুদের গ্রামের বাড়ী শাহজাদপুরে চলছে এখন শোকের মাতম। মন্টু মিয়া ও আল-মাহমুদের লাশের অপেক্ষায় এখন প্রহর গুনছে স্বজনেরা।

গত শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরে একটি প্লাষ্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে আগুন লেগে ওই কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা মারাযায়। এদের মধ্যে দুই জনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায়। নিহত মন্টু মিয়া (৩৩) চর-নরিনা পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে, তার এক স্ত্রী ও নবজাতকসহ দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অপরজন আল-মাহমুদ (১৮) মশিপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে।

চরনরিনা গ্রামের রওশন আলীর ছেলে আহত রবিউল করিম (২৮) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

গত শনিবার রাতে মিরপুর প্লাষ্টিক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মন্টু মিয়া ও আল-মাহমুদ মারা যায়। একই সঙ্গে রবিউল করিম আহত হয়। এ খবর টেলিভিশনে প্রচারিত হলে তিনটি পরিবারের স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

গতকাল রোববার নিহত মন্টু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে শোকের মাতম। তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মূর্ছা যাচ্ছেন। তিনি প্রলপ বকে বলছেন, ‘আমার এই নবজাতক কন্যাডার কি হব্যি, কি ভাবে সংসার চইলবো, গেদির বাপই সংসারের কামাইদার। গতমাসে বাড়িত আইস্যা বলছিলো, সামনের মাসে আল-মাহমুদের চাচা মোঃ শাহিন মিয়া বলেন, ছেলের লাশ আনার জন্য বড় ভাই শাহজাহান ঢাকায় গেছে। আমরা লাশের অপেক্ষায় বসে আছি। লেখাপড়া করা অবস্থায় সংসারের অভাব অনটনের কারনে চাকুরীতে ঢোকে। অল্প দিনের মধ্যেই সে মারা গেলো।

রবিউল করিমের চাচাতো ভাই আমির হোসেন বলেন, রবিউল কাজ করার পাশাপাশি ঢাকার একটি কলেজে বিএ পড়তো। বিএ পাশ করার পর সে বিবাহ করবে বলে বাড়ির সকলকে জানিয়েছিলো। জানতে পেরেছি, এখন সে সঙ্গাহীন অবস্থায় ঢাকার হাসপাতালে রয়েছে। জানিনা সে ভালো হয়ে বাড়িতে আসবে কিনা।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাবুদ্দীন খলিফা বলেন, স্থানীয় ভাবে দুজন মারা যাওয়া ও একজন আহত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে উক্ত কোম্পানী বা সরকারি ভাবে কোন বার্তা এখনও পাইনি। পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসএস/এসসি/জানুয়ারি০২,২০১৫)