কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নে সরকারদলীয় প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বরাদ্দ চাল আত্মসাৎ, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি এলাকাবাসির পক্ষে বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান বন্দুকসী আজ বুধবার দুপুরে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে  এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ  করেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বারিষাব ইউনিয়নের গাওরার গ্রামের মৃত সুলতান উদ্দিন বেপারীর পুত্র মোখলেছুর রহমান, মৃত নূর হোসেনের পুত্র আল-মোমেন ও রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র লাল মিয়া গংরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে এলাকার নিরিহ মানুষদের জিম্মি করে নানা ভাবে হয়রানি করছে। সিদ্দিকুর মেম্বারসহ একই গ্রামের আবুল বাশার জামাল ও শাহনাজ আক্তার লাভলী ২০১৩ ইং সালের ১৭ জুলাই গাওরার মৌজায় জমির প্রকৃত মালিক একই গ্রামের সংসের আলীর পুত্র আ. মোতালিবের নিকট থেকে ২ টি রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে ৭.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করে নামজারী করেন। পরে ২০১৪ ইং সালের ২৪ ডিসেম্বর মোখলেছুর গংরা একই গ্রামের মৃত ছাদির বেপারীর পুত্র ফজলুল হক বেপারীকে দাতা দেখিয়ে একই চৌহদিভূক্ত জমি থেকে ৪.৩৭ শতাংশ জমির দলিল তৈরি করে বর্তমানে ওই জমিটি দখলের পাঁয়তারা করছে।

অভিযোগে আরো জানা যায়, ওই চক্রটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগারের নামে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে টি আর প্রকল্পের ৪ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করে। একই চক্র ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৩০ নং গাওরার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ৪.৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাৎ করেন।

এ ব্যাপারে গাওরার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুলসুম বেগম জানান, প্রকল্পের আড়াই মেট্রিক টন বরাদ্ধে স্বাক্ষর করেছি। কিন্ত বিদ্যালয় কমিটির সদস্যরা কিভাবে খরচ করেছে তা আমার জানা নাই। তবে আমার জানা মতে বিদ্যালয়ে কোন খরচ হয় নাই। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আল-মোমেন তার বাহিনী নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার নিরীহ লোকদের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে চাঁদা আদায় ও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসি তাদের এ সকল অপকর্মের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করলে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও জানা গেছে। ইতোপূর্বে এলাকাবাসির পক্ষে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান বন্দুকসী বাদী হয়ে তাদের এ সকল অপ-কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসকেডি/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫)