স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা বিএনপিকে সন্ত্রাসী ও খুনী দল উল্লেখ করে বলেছেন, এদের সাথে কোন আলোচনা বা সংলাপ হতে পরে না। জনগণকে সাথে নিয়ে এদের মোকাবেলা করা হবে।

গত ১৯ জানুয়ারি সোমবার দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন। এরপর গত ২০ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের ডা. দীপু মনি তা সমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ (মঙ্গলবার) ১৩তম দিনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, সরকারি দলের সেলিনা আক্তার বানু, বেগম ফাতেমাতুজ্জোহরা, কামরুল আশরাফ খান ও জাতীয় পার্টির শাহনারা বেগম আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, ২০ দলীয় জোটের নেত্রী আন্দোলনের নামে দেশে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) মানুষকে অবরুদ্ধ রেখে লাশের বিনিময়ে ক্ষমতায় যেতে চান, দেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান।

তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের নামে তারা দেশে নৈরাজ্য চালাচ্ছেন ভাড়া করা লোক দিয়ে, তাদের কোন নেতাকর্মী মাঠে নেই। তারা আগুনে পুড়িয়ে শুধু মানুষই মারছেন না, তারা শিশুদের বই পোড়াচ্ছেন, এমনকি মুরগির বাচ্চাও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষায় অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তাই জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, জেন্ডার বৈষম্য উলে­খযোগ্য হারে হ্রাস, দারিদ্র্যতার হার হ্রাসসহ রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মেহের আফরোজ চুমকি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বিজিপি প্রধানের ফোন কল ও কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ক্রমাগত মিথ্যাচার করে আসছে। এরা সন্ত্রাসী ও খুনের দল এদের সাথে কোন কথা হতে পারে না, তাদের সাথে কোন সংলাপ হবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে এসব সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করা হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ অবশ্যই ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাবে।

তারা বলেন, আন্দোলনের নামে পেট্রল বোমা মেরে নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। জনগণ বর্তমান সরকারের সাথে রয়েছে।

সরকারি দলের সদস্যরা আরো বলেন, বাংলাদেশ গত ছয় বছরে সব ক্ষেত্রে ব্যপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে অতীতের খাদ্য ঘাটতির দেশ বর্তমানে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।

শুধু কৃষিতে নয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্রামীণ উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রেই সরকারের ব্যাপক সাফল্য রয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

(ওএস/অ/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫)