স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে রোডের দক্ষিণপ্রান্তে পুলিশি বাধা পেয়েছে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের শত শত নেতাকর্মী ঘেরাও করতে যান।

অবৈধ হরতাল-অবরোধ, পেট্রাল বোমা ছুড়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর, যাত্রী হত্যার প্রতিবাদে এ ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি।

তবে পুলিশি বাধার কারণে ৮৬ নম্বর রোডের খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দক্ষিণপ্রান্তে পুলিশ বাধা দিলে তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।

এ সব স্লোগানের মধ্যে রয়েছে- ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘যে হাতে পেট্রোল-বোমা সে হাত পুড়িয়ে দাও’, ‘খালেদা জিয়ার আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘খালেদা জিয়ার রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ ইত্যাদি।

ঘেরাও কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ আহমেদ হোসেন মির্জা, সহসভাপতি ওসমান গনি ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ঢালী প্রমুখ।

তারা বলেন, জামায়াত-বিএনপি অবৈধভাবে টানা হরতাল ও অবরোধ দিচ্ছে, পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ দেশবিরোধ কর্মকাণ্ডের লিপ্ত রয়েছে। এর প্রতিবাদে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করা হয়েছে।

এ সময় তারা মানুষ পোড়ানো, হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি করেন।

সর্বশেষ, দুপুর সাড়ে ১২টার সময় তারা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের কাছে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।

এ বছরের ৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ কর্মসূচি পালনে বাধা পেয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয়। পরে অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিতে যানবাহন চলাচলে বাধা দিতে ছুড়ে মারা পেট্রোল বোমায় এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আর শুধুমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটেই বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ৬৩ জন।

এ ছাড়া রেলপথে ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলা ফেলা হয়েছে। এতে করে ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে।

(ওএস/পিবি/ ফেব্রুয়ারি ১১, ২০‌১৫)