গাজীপুর প্রতিনিধি : মঙ্গলবার ভোরে কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রাম থেকে আমির উদ্দিন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের  চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠিয়েছে। পরিবারের দাবি পূর্বে তাঁর বাড়িতে সংঘটিত ডাকাতদের চিনে ফেলায় ও ডাকাতি মামলা করায় তারাই এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।

জানাযায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় আমির উদ্দিন তার নিকট আত্মীয় কাইয়ুম সহ স্থানীয় টোক নয়ন পুর বাজারের পাশের সামসু দয়ালের বাড়িতে ওরশে অংশ নিতে যায়। ওরশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৪টার দিকে তার বাড়ি থেকে ১ কিলো মিটার দূরে আড়ালিয়া জামতলা এলাকায় এলে কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের পথরোধ করে। এক পর্য়ায়ে তারা আমির উদ্দিনকে আটকিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও পেটে উপর্যপরি আঘাত করে এবং ডান হাতের একটি আঙ্গুল কেটে ফেলে। এ সময় সঙ্গে থাকা কাইয়ুম বাড়িতে গিয়ে খবর পাঠায়। বাড়ির লোকজন আমির উদ্দিনকে রক্তাক্ত মারাত্মক জখম অবস্থায় রাস্তার উপর পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় কাপাসিয়া হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু ঘটে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। নিহত আমির উদ্দিন ছোট ছেলে বিল্লাল জানায়, ২০/২৫ দিন পূর্বে তাদের বাড়িতে ডাকাতি ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতদের আঘাতে সে মাথায় জখম ও আহত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এ ঘটনায় তিনি ডাকাতদের চিনে ফেলেন এবং তাদের ব্যবহৃত চাদর ও ২টি ছুির রেখে দেন। এ কারণেই তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সে জানায়। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার প্রতিবেশী মোছলে উদ্দিন জানান, আড়ালিয়া গ্রামে প্রায়ই চুরি, ডাকাতি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী অপকর্মেও ঘটনা ঘটছে এবং এতে অনেক নিরিহ গ্রামবাসীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আড়ালিয়া গ্রামটি ৩ জেলার ও ৩ উপজেলার মোহনা হওয়ায় এখানে অপরাধ সংগঠনের প্রবনতা অত্যাধিক। কাপাসিয়া থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান , আমির উদ্দিন তার বাড়ীর ডাকাতির ঘটনায় গত ২৬ জানুয়ারি আড়ালিয়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে জসীম উদ্দিনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১১জনকে আসামি কওে মামলা দায়ের করেন। এর জেনে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
(এসকেডি/পিবি/ফেব্রুয়ারি ১১,২০১৫)