বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনায় শারীরিক প্রতিবন্ধী এক মুক্তিযোদ্ধার দোকান ও জজিবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার ডৌয়াতলা গ্রামের ভূক্তভোগী প্রতিবন্ধী মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান বুধবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এসময়  বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সুবেদার (অব.) তোফায়েল আহম্মেদ মাসুম, সাংগঠিনিক কমান্ডার আ. মোতালেব, প্রেসক্লাব আহবায়ক ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন, নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস ননীসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বলেন , শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই অসহায় মুক্তি যোদ্ধা উপজেলার ডৌয়াতলা বাজারে নিজ জমিতে একটি দোকান ঘর তোলেন। দোকান ঘরের এক কক্ষে তিনি পল্লী চিকিৎসার কার্যক্রম চালান আর এক কক্ষ জনৈক রুস্তুম আলী নামের একজনকে ভাড়া প্রদান করেন। ১৯৮৭ সনে ডৌয়াতলা বাজারে জমির মালিক রহিম খানের নিকট থেকে ক্রয় করা ওই ৭ শতাংশ জমি দির্ঘ ২৮ বছর যাবৎ তিনি ভোগ দখল করেন। গত ২৮ ডিসেম্বর রাত ১০ টার সময় মো. রুস্তুম আলী ভাড়া নেওয়া দোকান ঘরটি আটকিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরে ২৯ ডিসেম্বের ভোর রাতে বিএনপি নেতা শুকুর হাজি স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তার দলবল নিয়ে দোকান ঘরের তালা ভেঙ্গে দোকানঘরটি দখল করে এবং ওই ঘরের পিছনে জমিতে আরেকটি ঘর তোলে। বামনা থানায় এ ঘটনায় একটি এজহার দাখিল করতে গেলে অফিসার ইন চার্জ ওমর ফারুক এজহার গ্রহন না করে দখলকারীদের পক্ষ নিয়ে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমানকে অপমান করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা শুক্কুর হাজি তার বিরুদ্ধে জমি ও দোকান দখলের অভিযোগ অস্বীকার বলেন,আমার জমি আমি দখল করেছি।

বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ওমর ফারুখ মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,সংশ্লিষ্ট ্মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান তার কাছে কখনও কোন এজাহার নিয়ে আসেনি।

(এমএইচ/এএস/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫)