নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জাবেদ নামে এক যুবককে গুমের অভিযোগ করার ১৮ ঘন্টা পর জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তবে পুলিশের দাবী বিভিন্ন সোর্স ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আপহরনকারীদের অবস্থান সম্পর্কে পুলিশের নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে জাবেদকে ছেড়ে দেয়া হয়। 

বাগাতিপাড়া থানায় অভিযোগ করা হয়, উপজেলার খন্দকার মালঞ্চি গ্রামের আরব আলীর মেয়ে শিউলি খাতুন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে গুম করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ দিকে জাবেদের মা নিলুফা ইয়াসমিন লুনা বাগাতিপাড়া থানায় এই অভিযোগ করে। ওই গুমের অভিযোগের পর পুলিশ রাতেই শিউলিদের বাড়িতে হানা দিয়ে শিউলিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় শিউলির মা রেহেনা বেগমও থানায় আসেন। রাতভর তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিকে রাতভর মা ও মেয়েকে থানায় আটক রাখায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তবে শিউলিকে আটক করা হয়নি বলে দাবী করে পুলিশ জানায়,ঘটনাটি সন্দেহভাজন হওয়ায় সত্যতা যাচাইয়ের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। শিউলিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তার মা রেহেনা বেগম স্বেচ্ছায় থানায় আসেন।
অপরদিকে মা ও মেয়ে থানায় আটক থাকা অবস্থায় শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে নাটোর সদর উপজেলার সিংগারদহ এলাকা থেকে কথিত অপহৃত জাবেদকে এলাকাবাসী আটক করে। এলাকাবাসী জাবেদকে একটি অটো রিক্সায় যেতে দেখে পিছু ধাওয়া করে তাকে আটক করে স্থানীয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান,ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে উভয়কেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
(এমআর/এএস/মে ০৯, ২০১৪)