বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন বরগুনা-লাকুরতলা-কুমড়াখালী-ফুলঝুড়ি সড়কের এক কিলোমিটার সংস্কার কাজে বড় রকমের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ না করায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় এলাকাবাসী সমবেত হয়ে ওই সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

এলজিইডি বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সড়ক মেরামত ও সংস্কার কাজের আওতায় বরগুনার লাকুরতলা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে খাজুরতলা এলাকা পর্যন্ত ১.০৭৫ কিলোমিটার কাজে ৪৫ লাখ ৩ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। পটুয়াখালীর মো.গিয়াস উদ্দীন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে কার্যাদেশ দেয় বরগুনা এলজিইডি। প্রাক্কলণ অনুসারে সড়কটি ০.০০ থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত ৬ ফুট, ৩০০ থেকে ৭৭৫ মিটার পর্যন্ত ৪ ফুট প্রসস্তকরণ করার কথা। এছাড়াও সড়কের উভয় পাশে বেড কেটে ৬ ইঞ্চি পরিমাণ বালি ও খোয়ার মিশ্রণ, পরে আরো ৬ ইঞ্চি পরিমাণ খোয়া দেওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়াও পুরানো রাস্তার বিটুমিন ও পাথরের মিশ্রণ সরিয়ে ২ ইঞ্চি খোয়া দেওয়ার পর ৩২ মিলিমিটার কার্পেটিং করার নির্দেশনা রয়েছে।
তবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই সড়কের উভয় পাশে বেড না করে সড়কটির শুধুমাত্র দক্ষিণ পাশে বেড খনন করা হয়েছে। ওই বেডে নতুন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে বালু ও খোয়ার মিশ্রণ দেওয়া হয়নি। যে কারণে সড়কটি আগের অবস্থা থেকেও নিচু হয়ে গেছে। কিন্তু কার্যাদেশে সড়কটি আরো ২ ইঞ্চি উচু করার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বরাদ্ধ বাঁচাতে ঠিকাদার প্রাক্কলন অনুসারে কাজ না করে ফাঁকি দিচ্ছে। কাজে অনিয়ম হওয়ায় স্থানীয়রা ঠিকাদারের কাছে আপত্তি জানালেও গুরুত্ব না দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়। ফলে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ওই কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামন মনির বলেন, যে ভাবে সংষ্কার কাজ চলছে, রাস্তা আগের চেয়েও নিচু হতে চলেছে। উচ্চতা কমে গেলে জোয়ারের পানিতে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সমস্যা লাঘব তো হবেই না বরং আমাদের দূর্দশা আরো বাড়বে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মো. গিয়াস উদ্দিনের প্রতিনিধি মো. জালাল মিয়া বলেন, এখন কোনো কথা বলা সম্ভব না। এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানতে হলে এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন।
এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই সহকারি প্রকৌশলী সড়কের কাজ দেখেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলে আমি নিজে গিয়ে সড়কের কাজ পরিদর্শন করবো। কাজে ত্রুটি বা অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এমএইচ/পিবি/ফেব্রুয়ারি ১৭,২০১৫)