রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের ফলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীরা পড়ছেন মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন। একবার বিদ্যুৎ গেলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ আসে না। এনিয়ে ক্ষুব্ধ এলকাবাসী সমস্যা নিরসনে কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এরকম আচরণে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী।

জানা য়ায়, সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার মধ্যেই থাকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে অবাধে লোডশেডিং। বিকেল ৫ থেকে রাত্র ৯ টার মধ্যে ৩-৪ বার আসা যাওয়ার মধ্যে থাকে। কিছুক্ষণ পরে আসলেও তাও কিছু সময়ের জন্য, তার উপর দেখা যায় লো-ভোল্টেজ। ফলে কম্পিউটার ও ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাজ করা সম্ভব হয় না। আবার যায় আবার আসে এভাবে চলে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়া লেখাসহ সাধারণ মানুষের কাজ-কর্মে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। সারাদিন বিভিন্ন স্থান থেকে কাজ-কর্ম করে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে মানুষ রাতে একটু ঘুমাতে যাবে এমন সময় আবার ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং।
পল্লী বিদ্যুতের এই অসহণীয় লোডশেডিংয়ের কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের চরম কষ্ট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তারা গরমে ঘর্মাক্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মোট কথা মানুষের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম লাটে ওঠার উপক্রম হয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে সবার মাঝে।
প্রধান সড়কের ব্যবসায়ি আব্দুল রশিদ, নিপু, সুকান্ত ও রাকিব উদ্দিনসহ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বিষয়টি জনপ্রতিনিধিরা পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তারা বরন লোডশেডিংসহ নানা অজুহাতে প্রায় দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। এছাড়াও পৌরসভার ভিতরের অধিকাংশ গ্রাহকের মিটার, ক্যাবল নিজেদের হওয়ার পরও ডিমান্ড চার্জ, মিটার চার্জ, সার্ভিস চাজের্র নামে প্রতি মাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও তাদের দেয়া সময়ের মধ্য বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় জরিমানা দিতে হয়। অথচ বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে, এর থেকে নিস্তার পাওয়া দরকার। একবার ক্রয় করা জিনিস দ্বিতীয়বার ক্রয় করতে বাধ্য করছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার একটি পৌরসভার ও ১০টি ইউনিয়ন মিলে ৫৬০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে। আর গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার।
জানতে চাইলে রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার (ডিজিএম) মাহফুজুর রহমান বলেন, পলী বিদ্যুতের কোন তথ্য মোবাইল ফোনে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে অফিসে এসে কথা বলে তথ্য নিয়ে যাবেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
(পিকেআর/এএস/মে ০৯, ২০১৪)