চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সাংবাদিক হোসাইন জাকিরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টায় তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা মরহুম ডা. আব্দুল হাফিজের কবরের পাশেই তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে শনিবার রাত ৯ টায় তার প্রথম জানাজা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত হয়।

প্রয়াত জাকিরের ছোট ভাই রবিউল হোসাইন জানান, শনিবার রাতে ডিআরইউতে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে উদ্যেশে রওয়ানা দেওয়া হয়। রবিবার সকাল ৭টায় মরদেহ তার গ্রামের বাড়ীতে পৌঁছে।

হোসাইন জাকির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিরপুরে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত রবিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকেরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। পরে তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে (পিসিইউ) নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি মারা যান। হোসাইন জাকিরের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন, কন্যা নিলয় (১৪), ছেলে আকাশ (১১) ও দেড় বছরের স্বপ্ন নামে এক ছেলে রয়েছে।

চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করা হোসাইন জাকির প্রায় ১৮ বছর সক্রিয় ছিলেন এ পেশায়। দৈনিক মানবজমিন হয়ে দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক যুগান্তরে সাংবাদিকতা করেছেন দীর্ঘদিন। যুগান্তরে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের একপর্যায়ে যুক্ত হন আলোকিত বাংলাদেশের সঙ্গে। সেখানে দায়িত্ব নেন প্রধান প্রতিবেদকের। সর্বশেষ তিনি প্রকাশিতব্য দৈনিক আজকের পত্রিকায়ও প্রধান প্রতিবেদকের দায়িত্বে ছিলেন।

পেশাগত জীবনে সেরা প্রতিবেদনের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০০৪, ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ এবং ২০১১ সালে ইউনিসেফ পুরস্কার পান হোসাইন জাকির। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স শেষে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫)