আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোয়াইন ফ্লু ভারতে মহামারি আকার ধারন করেছে। সোয়াইন ফ্লুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪১, আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৫০০ এর ও বেশি মানুষ। রাজ্যগুলির মধ্যে রাজস্থান আর গুজরাতের পরিস্থিতিই সব থেকে ভয়াবহ।

গতকাল মঙ্গলবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রী সংসদের উভয় কক্ষে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ২০১০ সালে যে ভাইরাসে প্রায় ১৭০০ মানুষ মারা গিয়েছিলেন, সেই এইচ ওয়ান এন ওয়ান ভাইরাসই এবছরও আক্রমণ করেছে।

ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা আজ সংসদে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন গত দুমাসে যে প্রায় সাড়ে আটশো মানুষ সারা দেশে যে ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জাতে মারা গেছেন, সেটি টাইপ এ ভাইরাস।

এইচ১ এন ১ বা সাধারন ভাষায় সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস বছরের এই সময়েই সবথেকে বেশী ছড়ায় আর প্রায় মহামারীর আকার ধারণ করে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও আজ জানিয়েছে তারা সোয়াইন ফ্লুর প্রকোপের দিকে গভীর নজর রাখছে কিন্তু এখনও সেটা মহামারীর আকার ধারন করে নি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডা সংসদে তাঁর বিবৃতিতে বলছিলেন, যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের একটা বড় অংশ অন্যান্য রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পরে এইচ ১ এন ১ ভাইরাসের আক্রমণ তাঁরা আর সামলাতে পারেন নি। এমন তথ্যও আসছে যে অনেকে আগে থেকে না বোঝার ফলে অনেক দেরীতে চিকিৎসা করাতে এসেছেন।

সরকার যদিও দাবি করেছে আজ যে সোয়াইন ফ্লুর ওষুধ ট্যামিফ্লু পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে প্রতিটা রাজ্যেই, তবে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকেই অভিযোগ উঠেছে যে সব দোকানে ট্যামিফ্লু ওষুধটা পাওয়া যাচ্ছে না।

রাজস্থান আর গুজরাতেই সোয়াইন ফ্লুতে মৃত্যুর সংখ্যা সবথেকে বেশী হলেও পশ্চিমবঙ্গেও সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ জন, আর ৮০ জনের রক্তে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস পাওয়া গেছে।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫)