গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বহুজাতিক তামাক কোম্পানীগুলোর প্রলোভনে শুধু আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকরা তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে রবি ফসল আবাদ ছেড়ে ক্ষতিকর তামাক চাষে ঝুঁকে পড়ছে। এ বছর তারা দ্বিগুণ জমিতে তামাক চাষ করেছে। এমন ক্ষতিকর আবাদের প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা,স্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে পরার আশংকা করছে সচেতন মহল।

তিন-চার বছর আগেও যে সব জমিতে কৃষকদের রবি ফসল আবাদ করত এখন তা চলে গেছে তামাকের দখলে। নানা কারণে এ জেলার কৃষকরা রবি ফসলে তারা তেমনটা লাভ করতে না পেরে তামাক চাষ বাড়িয়ে দিয়েছে। তার উপর কয়েক বছর ধরে তামাক প্রক্রিয়াজাত কোম্পানি গুলোর নানা তৎপরতা ও প্রলোভনে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জে বেশ কিছু এলাকায় ২ শ’৯০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। যা গত বারের চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি।
উপজেলার দরবস্ত গ্রামের এক তামাক চাষীরা জানায়, আলু, সরিষা, ভুট্টা ও সবজির মত রবি ফসল আবাদের চেয়ে বেশি লাভ হওয়ায় আবারো তারা তামাক আবাদে ঝুঁকে পড়েছে। তামাক চাষ পরিবেশ, জমির মাটি এবং নিজের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর জেনেও শুধু আর্থিক ভাবে লাভবান হতে তারা এ ধরনের আবাদ করছে। সার, বীজ ও ঔষধ সহ সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি তামাক আবাদে কোম্পানি গুলো তদারকির জন্য এলাকায় লোক নিয়োগ করছে। নির্ধারিত মূল্যে তামাক বিক্রি করতে পারায় প্রতি বিঘাতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তামাক বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছাহেরা বানু বলেন, তামাক প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির প্রলোভন আর বিভিন্ন ফসলের চেয়ে তামাকের আর্থিক মূল্য বেশি হওয়ায় কৃসকরা এ ধরনের ক্ষতিকর আবাদে ঝুঁকছে। এসব কৃষকদের তামাক চাষ থেকে ফেরাতে সমাবেশ সহ নানা তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
(এসডি/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২৬,২০১৫)