বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনায় তালাকপ্রাপ্ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে যৌণহয়রানীর অভিযোগে মো. জহিরুল ইসলাম সোহাগ নামে এক যুবককে ৬ মাসের কারাদন্ডদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। তার সাবেক  স্ত্রীর স্কুল শিক্ষিকা আয়শা সিদ্দিকার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বামনা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও কাজী মাহবুবুর রশীদ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বুধবার দিবাগত রাতে এ নির্দেশ দেন। দন্ডিত জহিরুল ইসলাম সোহাগ পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। ভূক্তভোগী আয়শা সিদ্দিকা বামনার সরোয়ারজান স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। 

জানাগেছে,২০০২ সালে স্কুল শিক্ষিকা আয়শার সাথে প্রবাসী জহিরুলের বিয়ে হয় । বিয়ের কিছুদিন পর উভয়ের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। এরপর ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে আয়শা স্বামীকে তালাক দেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান থাকায় তাকে দেখতে প্রায়ই তিনি স্ত্রীর বাসায় আসতেন। এটা স্ত্রী আয়শা সহজ ভাবে মেনে না নেওয়ায় তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয় । স্ত্রী মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে না দেওয়ায় স্বামী তাকে প্রায়ই হুমকী ধামকী দিতো। গত বুধবার বিকেলে পুনরায় স্বামী জহিরুল ওই স্ত্রীর সাথে দেখা করতে এসে দুর্ব্যবহার শুরু করলে আয়শা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ জহিরুলকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যান আদালতে সোপর্দ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত স্বামীকে ছয় মাসের কারাদন্ডদেশ দেয়।
বামনা থানার ওসি মো. ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার দন্ডিত জহিরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(এমসিএইচ/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২৬,২০১৫)