আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানের কথা স্বীকার করে বলেছেন, এখানকার কয়েক লাখ বাংলাদেশি সরাসরি এ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের আরও ভালো ভালো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন, ব্রিটেনে আগামী দিনে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

বুধবার যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সম্প্রতি হালাল মাংস নিয়ে সৃষ্ট জটিলতাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ব্রিটেনে হালাল মাংস থাকবেই এতে কোনো সন্দেহ নেই। এতে বিভ্রান্ত না হতে মুসলিম কমিউনিটির প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ডকে পরাজিত করায় তার কোনো দুঃখ নেই উল্লেখ করে ক্যামেরন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানান। তিনি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাওয়ার্ডের মতো আয়োজন এ দেশে বেড়ে উঠা আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃটেনে বসবাসরত বাঙালি ব্যবসায়ীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে ও বাঙালি কমিউনিটিতে অবদান রাখার জন্য ২১টি ক্যাটিগরিতে মোট ২৮ জন ব্যবসায়ী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সমাজ সংগঠককে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

দেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ আড়ম্ভরপূর্ণ অনুষ্ঠানে হঠাৎ করেই উপস্থিত হন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এছাড়াও ব্রিটেন ও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য অতিথি অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন লর্ড অব উইম্বলডন তারিক আহমদ, ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবুল হান্নান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও চ্যানেল আইর পরিচালক শাইখ সিরাজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাওয়ার্ডের ফাউন্ডার মিসবাউর রহমান। দেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসির ও এমডি শামীম চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিবিসির মিডল্যান্ড টু ডে’র উপস্থাপক মাইকেল কলি ও অভিনেত্রী শমী দাশ।

অনুষ্ঠানে বেস্ট বিজনেস এন্টারপ্রেনার অব দ্য ইয়ার হিসেবে ফারজানা হোসেন নীলা, এন্টার প্রেনার অব দ্য ইয়ার ফরিদ নাবির, সুপার মার্কেট অব দ্য ইয়ার রফিক হায়দার, লিডার অব দ্য ইয়ার আহবাবুর রহমান মিরন, কমিউনিটি এঙিলেন্স মাজেদুল চৌধুরী, লাইফ টাইম বিজনেস এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড আলহাজ মনজুর আলী, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মনির আহমদ, মিডিয়া পার্সোনালিটি হাফিজ আলম বঙসহ ২৮ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

(ওএস/এএস/মার্চ ১৩, ২০১৫)