স্টাফ রিপোর্টার : কোকো মারা যাওয়ায় ঋণ খেলাপি মামলায় আসামি হচ্ছেন খালেদা। ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় আসামি করা হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় খেলাপি ঋণের মামলা তার উপর বর্তাচ্ছে। সোনালী ব্যাংক এ জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সোমবার এবিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপি।

সোনালী ব্যাংকের আবেদনে বলা হয়, আরাফাত রহমান কোকো এ মামলার বিবাদী। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপি ঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশরা বিবাদীভুক্ত হবেন। তাই তার ওয়ারিশ হিসেবে মা-খালেদা জিয়া, স্ত্রী-শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে-জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে। কোকোর ছেলে সন্তান না থাকায় বড় ভাই তারেক রহমানও কোকোর সম্পদের ওয়ারিশ। তবে তিনি এ মামলায় আগে থেকেই বিবাদী হওয়ায় নতুন করে আবেদন জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। পরদিন ৩ অক্টোবর মামলাটি মধ্যস্থতা করার জন্য এডভোকেট আব্দুস সালামকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেন বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো মধ্যস্থতা না হওয়ায় বিচারক মামলাটিতে ইস্যু গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম কোয়েল জানান, ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মামলার বিষয়বস্তু হলে ব্যাংকের ম্যানেজার মধ্যস্থতা করতে পারেন। কিন্তু ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান/ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পর্যায়ের কাউকে মধ্যস্থতায় থাকতে হবে। এ মামলায় ব্যাংকের পক্ষে তেমন কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন না। এ বিষয়টিসহ অন্যান্য বিষয়ে মামলার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের আদেশ দাখিল ও ইস্যু গঠনের দিন ধার্য রয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করে। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো অর্থ প্রদান করেননি।

(ওএস/এএস/মার্চ ১৫, ২০১৫)