যশোর প্রতিনিধি : যশোরে কলেজছাত্রীকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আপন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে।

আটক আপন বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আবদুল বারিকের ছেলে।

এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা রবিবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষিতা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছেন।

প্রতারিত ওই ছাত্রী আদালতকে জানান, আপন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানার কনস্টেবল। মোবাইল ফোনে তাদের পরিচয় হয়। আপন নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ৫-৬ দিন আগে আপন তাকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর খুলনার ডুমুরিয়া ও দিঘলিয়া এলাকায় নিয়েও একই কাজ করেন আপন।

জবানবন্দীতে ওই ছাত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, শারীরিক সম্পর্কের পর তিনি আপনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু আপন বিবাহিত হওয়ায় এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। গত শুক্রবার আপন তাকে খুলনা থেকে যশোর এনে সোনার অরঙ্কার, টাকা ও মোবাইল ফোনসেট কৌশলে হাতিয়ে সটকে পড়েন।

ঘটনার ব্যাপারে শনিবার ওই ছাত্রী চৌগাছা থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানার এসআই নাহিয়ান হোসেন শনিবার রাত ২টার দিকে হরিণাকুণ্ডু থানা থেকে আপনকে আটক করেন।

এসআই নাহিয়ান হোসেন জানান, রবিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আপন তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান এসআই নাহিয়ান।

এদিকে, অভিযোগকারী কলেজছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা রবিবার যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের ডাক্তার আলমগীর কবির ডাক্তারি পরীক্ষা হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

(ওএস/এটিআর/মার্চ ১৫, ২০১৫)