নাটোর প্রতিনিধি : রবিবার নাটোর সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে হাফেজ সাইদুল ইসলাম(৩২) নামে মাদরাসা শিক্ষক ও স্থানীয় মসজিদের ইমামের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে এশার নামাজে ইমামতি করলেও ফজরের সময় তাকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। দুপুরে স্থানীয় একটি পুকুরে তার বিবস্ত্র মৃতদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয় হত্যাকারী। নিহত হাফেজ সাইদুল ইসলাম বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াইগ্রাম এলাকার হাশেম আলীর ছেলে।

নিহতের বড়ভাই বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার আব্দুল করিম জানান, তার ছোট ভাই হাফেজ সাইদুল ইসলাম ডাঙ্গাপাড়া মসজিদের ইমামতি করার পাশাপাশি মাদরাসার শিক্ষকতা করতেন। শনিবার রাতে এশার নামাজ পড়ানোর পর সে নিখোঁজ হয়। ফজরের নামাজের সময় তাকে মসজিদে না পেয়ে অনেকেই খোজাখুজি করেন। কিন্ত কোথাও পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। রোববার বেলা তিনটার দিকে পুকুর থেকে তার বিবস্ত্র লাশ পাওয়ার কথা তাদের জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারেন মাদরাসা সংলগ্ন জনৈক সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তার ভাইয়ের পড়নের কাপড় পাওয়া গেছে। রোববার সকাল থেকে সাইফুল সহ তার পরিবার উধাও হয়েছে। তারা ধারনা করছে রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, উধাও হওয়া সাইফুলের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি তাদের ভিটামাটি বিক্রি করে দিয়ে আগেই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। শনিবার সাইফুলকে এলাকায় দেখা গেলেও রোববার সকাল থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছেনা।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন জানান, সাইফুলের বাড়ি থেকে একটি গামছা পাওয়া গেছে। ঘটনাটি হত্যা না দৈব্য ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে তা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমআর/অ/মে ১১, ২০১৪)