কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : ভারতের বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতা মেজর রঞ্জন চৌধুরী ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৩টি মামলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এস.আই মিজানুর রহমান সাক্ষ্য দিয়েছেন।  সোমবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামীদেরকে কিশোরগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মাহবুব-উল ইসলাম এর আদালতে হাজির করা হয়।

সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামীদের ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা করা হয় ও আগামী ২৩ মার্চ রায়ের দিন ধার্য্য করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০১০ সনের ১৭ জুলাই ভোরে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার লক্ষীপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় মেজর রঞ্জন ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯ এর একটি দল। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, হাত বোমা তৈরীর উপকরণসহ ৪টি বোমা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোঃ করিমুল্লাহ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেন।

আসামের ধুবড়া জেলার গৌরিপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামের মৃত মধুসুধন রায়ের পুত্র বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠন উলফা’র নেতা পরেশ বড়–য়ার সহযোগী রঞ্জন চৌধুরী উরফে মেজর রঞ্জন উরফে প্রদীপ রায় (৪৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার গজনির বাসিন্দা মনিন্দ্র হাগিদ এর মেয়ে রাবিত্র ভ্রমকে বিয়ে করে গোপনে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। এছাড়াও প্রদীপ মারাক (৫৭) পিতা আরত সাংমা গ্রাম বাকাকুড়া থানা ঝিনাইগাতি জেলা শেরপুর তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল।

(পিকেএস/পিবি/মার্চ ১৭,২০১৫)