কিশোরগঞ্জ  প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের কান্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ও পরীক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিয়োগ বঞ্চিতদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কান্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রায় ১ বছর আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। গত ১৮ মার্চ বিদ্যালয় ভবনে ওই দুটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা হলে এতে ২০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অভিযোগ উঠেছে, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজসে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিকট থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে আগের রাতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয়। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ কমিটির উপস্থিত সদস্যরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। কিন্তু প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, উৎকোচ দেয়া পরীক্ষার্থীদের কাছে ফাঁস করে দেয়া প্রশ্নপত্র অনেকাংশে মিল রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞান পদে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থী নাঈমা আক্তার জানান, দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্ত করে এই নিয়োগ বাতিলসহ এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

নিয়োগ কমিটির সদস্য কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একে আব্দুল্লাহ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্ন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে অনেকাংশে ওই প্রশ্নের মিল পাওয়া বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

স্কুল কমিটির সভাপতি মো. তৌহিদ মিয়া জানান, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় এটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সময় তিনি উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুশফিকুর রহমান দুলাল ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সামাদ এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তাদের মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এস এম আলম জানান, অনিয়মের অভিযোগের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আই সি টি) কে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। পরীক্ষা অনিয়মের অভিযোগের কপি জেলা শিক্ষা অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

(পিকেএস/এএস/মার্চ ১৯, ২০১৫)