প্রবীর সিকদার : আইনের ঊর্ধ্বে কিনা গ্রীন ডেল্টা হাউজিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রা. লিমিটেড- এ প্রশ্ন এখন খুবই যৌক্তিক কারণে উচ্চারিত হচ্ছে শত কন্ঠে। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি-জামায়াত ঘরানার দুর্ধর্ষ প্রতারক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গ্রীন ডেল্টাকে এখন রক্ষা করে চলেছে সরকারি দলের কয়েক নেতা। তাদের কেউ কেউ আবার সরকারের মূল ক্ষমতার চারপাশেই থাকেন !

কয়েক বছর ধরে ফ্ল্যাট বিক্রিয় নামে শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গ্রীন ডেল্টা। এখন গ্রীন ডেল্টা তাদের না দিচ্ছে ফ্ল্যাট, না দিচ্ছে টাকা। সর্বস্ব হারানো প্রতারিতরা গ্রীন ডেল্টার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ওরফে বাকের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: বেলাল হোসেন ও মহাব্যবস্থাপক উম্মে কুলসুম শিমুল চৌধুরীর কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। উল্টো তাদের নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

প্রতারিতদের কেউ কেউ মামলা করেছেন। একাধিক মামলায় আদালতের গ্রেফতারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি রয়েছে। অথচ রহস্যজনক কারণে পুলিশ তা তামিল করছে না। পুলিশের চোখের সামনেই তারা প্রতারণার কাজটি অব্যাহত রেখেছে। গ্রীন ডেল্টার ইব্রাহিমপুরের প্রকল্প ‘গ্রীন ডেল্টা স্বপ্লীল’ এর গ্রাহকেরা গত ১৯ অক্টোবর ২০১৪ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গ্রীন ডেল্টা হাউজিংয়ের প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে একটি আবেদনও করেছেন। কিন্তু কোন বিচার পাননি ভুক্তভোগীরা। তাহলে খুবই যৌক্তিক কারণে প্রশ্নটি জোরালো হয়, গ্রীন ডেল্টার প্রতারণার শিকার সর্বস্বান্তরা কোথায় দাঁড়াবেন, কার কাছে যাবেন ? গ্রীন ডেল্টা হাউজিং কোম্পানি ওই সমস্যার নিরসন করবে না, আদালতে মামলা করেও ফল মিলবে না, পুলিশ সহযোগিতা করবে না, জনতার ভরসা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেও প্রতিকার মিলবে না; এ কেমন নিয়তি ?

এই বাস্তব পরিস্থিতিতে কেউ যদি ভেবেই বসেন, দুর্ধর্ষ প্রতারক কোম্পানি গ্রীন ডেল্টা হাউজিং আসলেই আইনের ঊর্ধ্বে; সেটা কি খুব ভুল হবে ?

লেখক : সম্পাদক, দৈনিক বাংলা ৭১ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ