রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : প্রবাস থেকে পিতার পাঠানো টাকা ও জমি কেনা নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে বিরোধের ঘটনায় মেয়েকে পবিত্র কোরআন শপথ করে সালিশ করলেন স্থানীয় কয়েক মাতাব্বর।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিন চরমোহনা গ্রামের পাঞ্জেগানা মসজিদ এলাকার মেস্ত্রী বাড়ীতে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মা ফিরোজা বেগম ও মেয়ে রত্না বেগম একই এলাকার মৃত হোসেন আলীর স্ত্রী ও মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, চরমোহনা গ্রামের হোসেন আলী জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি ও ছেলে দেলোয়ার হোসেন প্রবাস থেকে তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও বড় মেয়ে রত্নার নামে ব্যাংকের মাধ্যমে বিপুল টাকা পাঠান। সেই টাকা দিয়ে স্ত্রীর নামে জমি কেনা হয়। কিন্তু হোসেন আলী প্রায় দেড়মাস আগে মারা যায়। মারা যাওয়ার কয়েকদিন পরেই মেয়ে রত্না তার নামে পাঠানো টাকায় ওই জমি কেনা হয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এঘটনায় কয়েকবার এলাকায় মা ও মেয়ের মধ্যে বিরোধের ঘটনায় সালিশ হয়। কোন মিমাংশা না হওয়ায় রত্না তার মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। অবশেষে রোববার দুপুরে স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, ইব্রাহিম মেম্বার, রহমান মেম্বার ও হিরো চৌধুরীসহ কয়েক মাতাব্বরা মা ও মেয়েকে নিয়ে সালিশ বৈঠক করেন। এক পর্যায়ে জমিটি যে রত্নার টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে তা প্রমান করার জন্য মাতাব্বরা পবিত্র কোরআন শপথ করে মেয়েকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করিয়ে দেন। এসময় ওই বৈঠকে প্রায় অধশধাদিক গ্রামবাসি উপস্থিত ছিলেন।
এঘটনায় মা ফিরোজা বেগম ও বড় ছেলে দেলোয়ার বলেন, রত্না পবিত্র কোরআন শপথ নিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছেন। বৈঠকে গ্রামের কয়েক কয়েক মাতাব্বর রত্নার পক্ষ নিয়ে এ সালিশ করেন বলে তারা দাবি করেন।
এঘটনায় রত্না বলেন, টাকা ও জমি আমার তা সঠিক। কিন্তু আমার ও ভাইকে বিশ্বাস না করাতে পারায় বৈঠকে মাতাব্বর ও গ্রামবাসির সামেন বাধ্য হয়ে আমি কোরআন শপথ করেছি।
এঘটনায় চরমোহনা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে মেয়ের মধ্যে জমি ও টাকা নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলছিল। তাই উভয়ের পক্ষ থেকে সালিশের মাধ্যমে মেয়ে রত্নাকে ৩ শতাংশ জমি ও ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
(এমআরএস/পিবি/মার্চ ২৩,২০১৫)