বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট সদরের বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর মাদ্রসা বাজার এালাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে  প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে  বেমরতা ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম  ওরফে আজাদ শেখ (২৮) নিহত হয়েছে।

নিহত ছাত্রদল নেতা আজাদ বেমরতা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে।

এ ঘটনার পর বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী ঘাতক রাজিব হালদার ওরফে কসাই রাজিব ও মামুন শেখকে ধাওয়া করে ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই রাজীব কসাই(২০) নিহত হয়। গনপিটুনিতে আহত হয় অপর ঘাতক মামুন শেখ।

সোমবার সকালের বাগেরহাট সদর উপজেলার ফতেপুর বাজার এলাকায় এঘটনা ঘটে। রাজীব হাওলাদার বেমরতা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের ফারুক হালদারের ছেলে। গনপিটুনীর শিকার আহত মামুনকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। আটক মামুন বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার আলী শেখের ছেলে।

বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা শেখ জহিরুল ইসলাম মিঠু জানান, বাগেরহাট শহরে বসবাসরত রাজিব হালদার তার ইউনিয়নের ফতেপুর মাদ্রাসা বাজার এলাকায় ছাত্রদল নেতা আজাদকে উপযুপরি ছুরিকাঘাত করে পারিয়ে যায়। পরে আজাদকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসাপাতালে আনার পথে সে মারা যায়।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রাজিব ও তার সহযোগী মামুনকে ধরে গনপিটুনি দিলে রাজীব ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় অপর ঘাতক মামুন । পরে জনতা মামুনকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করে। ছাত্রদল নেতা নিহতের প্রতিবাদে দুপুরে বাগেরহাট শহরে জেলা ছাত্রদল মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

বাগেরহাট সদর সার্কেলের এএসপি জাহিদুল ইসলাম জানান, বেমরতা ইউনিয়নে স্থানীয় ভাবে আজাদের সাথে রাজিবের পুর্বশত্রুতা ছিল। সে ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে ফতেপুর মাদ্রাসা বাজার এলাকায় আজাদকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষ রাজিব ও তার সহযোগী মামুন ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাবার সময়ে স্থানীয়রা ধাওয়া করে ঘাতক দুজনকে ধরে গনপিটুনি দেয়।

এসময়ে ঘটনাস্থলেই রাজিব মারা যায়। অপরদিকে ছুরিকাঘাতে জখম আজাদকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আনা হলে সে মারা যায়। তিনি জানান এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। তবে মামুন সেখ (২৪) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকায় বসবাসকারী আলী সেখের ছেলে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার পর দুপুরে ছাত্রদল নেতা আজাদ ও আর ঘাতক রাজিব কসাইয়ের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে লাশ দুটি পরি বারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফতেপুর মাদ্রাসা বাজার মাঠে নামাজে জানাজা শেষে ছাত্রদর নেতা আজাদের লাশ বিষ্ণুপুর গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়ছে তার পরিবার। তবে ঘাতকের লাশ কোথায় দাফন করা হবে তা জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।

(এসকে/এটি/মে ১২, ২০১৪)