কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি  : হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা গ্রামে একই পরিবারে ৫জন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানবেতর জীবন যাপন করছে। উত্তর কুড়িমারা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র শামছুউদ্দিনের সাথে একই গ্রামের জাবেদ আলীর মেয়ে নূরজাহানের বিয়ে হয়।

তাদের ঘরে পাঁচ পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। প্রথম সন্তান নয়ন মিয়া ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করার সময় তার দু’ পায়ের গুড়ালি সরু হতে থাকে এবং কিছুদিনের মধ্যে পায়ের নিচের অংশ নিস্তেজ হয়ে হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও ডাক্তার তার চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে বিবাহিত নয়ন মিয়া স্থানীয় ঠাডাকান্দা বাজারে বাইসাইকেল মেরামত করে পরিবারের হাল ধরছেন। একই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ছোট ভাই রাজিব মিয়া, নাজমুল মিয়া, মামুন মিয়া ও বোন খাদিজা আক্তারের দু পায়ের নিচের অংশ পঙ্গু হয়ে যায়। স্থানীয় সংবাদ কর্মী খায়রুল ইসলাম জানান, ছেলে মেয়েদের ছোট বেলায় স্বাস্থ্য ভাল থাকলেও কৈশোরে পদার্পন করার সাথে সাথে তারা পঙ্গু হয়ে যায়। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে নয়ন ও রাজিব প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও বাকী ৩ ভাইবোন ভাতার বাইরে রয়েছে। দরিদ্র প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসেনি। এ ব্যাপারে শাহেদল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসিম সবুজ জানান , পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিষয়টি উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানানো হয়েছে।

(এনআইকে/পিবি/মার্চ ২৯,২০১৫)