পীযূষ সিকদার : ১৩ চৈত্র ১৪২১, ২৭ মার্চ ২০১৫ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে গীতমালিকার আয়োজনে হয়ে গেল রবীন্দ্রনাথের বসন্তের গান ‘বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’।

বিপুল দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে সঙ্গীত পিপাসু শ্রোতৃমন্ডলিকে এক অন্য রবীন্দ্রভূবনে নিয়ে যায়। ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে...।

গীতমালিকার শিল্পীরা আদৌ পেশাদার শিল্পী নন। এখানে শিল্পীরা মনের আনন্দে গান করেন। রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রসঙ্গীতকে ভালোবেসে। শুধুমাত্র সততাকে কাজে লাগিয়ে নিজের অন্তরকে আলোকিত করে সেই আলো সবার মধ্যে বিলিয়ে দেবার ভাবনা থেকে গীতমালিকার জন্ম ইতিহাস। গীতমালিকা একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার সংগঠন। নিষ্ঠার সাথে মূলধারার সংস্কৃতির পথে চলাই গীতমালিকার উদ্দেশ্য।

সীমাবদ্ধতাকে আশীর্বাদ জেনে গীতমালিকা ২০০৮ সালে তার যাত্রা শুরু করে। অল্প সময়েই এই সংগঠনটি দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছে। গীতমালিকার সাথে যারা যুক্ত তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন রবীন্দ্রসঙ্গীত মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে এবং মানুষকে অধিকতর মানুষ থাকতে সাহায্য করে-এই বিশ্বাস নিয়ে সকলের শুভকামনায় নিরন্তর যাত্রায় গীতমালিকা।

রবীন্দ্রনাথের বসন্তের গান আর কবিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে সমগ্র অনুষ্ঠানটি। ফুল আর পাতা দিয়ে এক অনন্য মঞ্চভাবনা আমাদের উপহার দিয়েছেন তানিয়া তোফায়েল হক। গীতমালিকার রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীরা একক এবং দলীয়ভাবে এক অসাধারণ সুরমূহুর্ত তৈরি করে আমাদের নিয়ে যান সুরামৃতলোকে। সেই অসাধারণ সুর লহরী নির্মাতা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীরা হলেন বর্ষা রাহা, ফেরদৌস জাহান মণি, তাজিম সুলতানা, রিদওয়ানা আফরীন সুমি, লুৎফর রহমান জোয়ার্দার, তরুণ কর্মকার, শহীদুল হক স্মার্ত, মীযানুর রাহমান, তাসলীম। যন্ত্রানুষঙ্গে সেতারে-ফিরোজ খান, এ¯্রাজে-অসিত কুমার দাস, তবলায়-রবীন্দ্রনাথ পাল, মন্দিরায়-নাজমুল আলম ঝরু। উপস্থাপনা ও আবৃত্তিতে-এনামুল হক বাবু ও তানিয়া তোফায়েল হক। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন মীযানুর রাহমান তাসলীম। গীতমালিকার আলো ছড়িয়ে পড়ুক দেশ হতে দেশান্তরে। রাঙুক এবং রাঙিয়ে দিক সবখানে। এ প্রত্যাশা সবার।

(পিএস/অ/মার্চ ২৯, ২০১৫)