কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রায় একমাস পর কিশোরগঞ্জের গৃহবধূ মীনা বেগম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মীনার স্বামীকে গ্রেফতারের পর তিনি হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেন।

পুলিশ জানায়, গত ৭ মার্চ কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব তারাপাশা এলাকার একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এতদিন তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। বুধবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে গৃহবধূর মা ও ভাই এসে ছবি দেখে মরদেহটি মীনা বেগমের বলে সনাক্ত করেন। পরে তাদের কথামতো কিশোরগঞ্জ সদরের যশোদল মধ্যপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মীনার স্বামী নূরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে ঘটনাস্থলের পাশেই একটি ধান ক্ষেত থেকে মীনার পরনের পায়জামা উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক কলহ ও স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলা থেকে রেহাই পেতেই মীনাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানায়।

উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ বছর আগে ময়মসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ইটাচকি গ্রামের মৃত রমজান আলীর মেয়ে মীনা বেগমের বিয়ে হয়েছিল কিশোরগঞ্জ সদরের যশোদল মধ্যপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের সাথে। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এক বছর আগে মীনা তার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের মামলা দয়ের করেন। মামলার পর থেকেই মীনা ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টে চাকরি শুরু করেন। মামলার হাজিরা দিতে গত ৪ মার্চ তিনি ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জে এসে হত্যার শিকার হন।

(পিকেএস/পিবি/এপ্রিল ০২,২০১৫)