নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে মা ও শিশু ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শনিবার ঘটনাটি ফাঁস হয়। তবে ঘটনাটি চাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন চেষ্টা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ওই স্কুল শিক্ষকের নাম জহিরুল হক। তিনি সোনারগাঁও উপজেলা মোগরাপাড়া ইউপির কাজিরগাঁও গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে। শিক্ষক জহিরুল হক বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউপির মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিক্ষক।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, জহিরুল হকের কাছে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত ১৫ দিন ধরে প্রাইভেট পড়ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সুযোগে স্কুল শিক্ষক ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে মাতুয়াইলের মা ও শিশু ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতাসদস্য বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলের বাইরে ঘটনাটি ঘটেছে। যে কারণে স্কুলের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ওএস/পিবি/ এপ্রিল ০৪, ২০১৫)