স্টাফ রিপোর্টার : মঞ্চে শুধুই বড়রা। একমাত্র শিশু বাতিঘরের শিক্ষার্থী নিষাদ হ‌ুমায়ূন। মাইক্রোফোনে সে গাইছিল ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানটি। কবি অসীম সাহার হাতে তখন একটি চারকোনা মোমবাতি। আরও তিনজন সেটি ধরে আছেন। একজন আগুন ধরালেন তাতে। অনুষ্ঠান শুরুর আনুষ্ঠানিকতা ছিল এটি। এর আগে একই পোশাক পরে মঞ্চে শিশুরা জাতীয় সংগীত গেয়েছে। আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেয়েছেন বড়রাও।

এক বছর পার করল শিশুদের সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়—বাতিঘর। তারই আয়োজন এটি। গান গেয়ে, আবৃত্তি করে আর কেক কেটে বিদ্যালয়ের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করে এই শিশুরা। গতকাল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠচক্র মিলনায়তনে এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কিরণ চন্দ্র রায়, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বিপ্লব বালা, চয়নিকা চৌধুরী, আবু সুফিয়ান চৌধুরী, সঞ্জীব সাহাসহ অনেকে।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের পরিচালক তামান্না সেতু। অনুষ্ঠানের সভাপতি মেহেদী হাসান জানালেন, শুক্র ও শনিবার বিকেলে ৩ থেকে ১৪ বছরের প্রায় ৪০ জন শিশু এই বিদ্যালয়ে নিয়মিত সাংস্কৃতিক শিক্ষা নিচ্ছে।

(ওএস/অ/এপ্রিল ০৫, ২০১৫)