মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের রাজৈরে শহিদুল ইসলাম নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এঘটনায় রাজৈর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে অপহৃতর মা মিমি বেগম বাদী হয়ে মাদারীপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে মামলা করলেও ১৬ দিনে উদ্ধার হয়নি অপহৃত ব্যক্তি। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে অপহৃতর পরিবার। শহিদুল ইসলাম বিদ্যানন্দি হোসেনপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে মাদ্রাসার অনুষ্ঠান শেষ করে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটের বাসায় ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন। এরপরে ০১৯৫৭৮৩৯৪৭১ নম্বর থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছে অপহৃতর ভাই সাতবাড়ীয়া নূরে-মোহাম্মাদী দাখিল মাদ্রাসার খন্ড কালীন শিক্ষক মো. জাকারিয়ারকে।
অপহরণের ঘটনায় আরিফ মুন্সি, আনোয়র মুন্সি, খোকন হাওলাদার ও বেল্লাল ফকিরকে আসামী করা মামলা করা হলেও কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
শহিদুলের ভাই জাকারিয়া হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, ‘শহিদুল ইসলাম সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমার বাবা আমাদের দুই ভাইকে শিশু অবস্থায় রেখে মারা যান। ভাইকে না পেয়ে মা এখন শয্যাশয়ী। মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি জানিয়ে রাজৈর থানায় জিডি করলেও পুলিশ কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি। আমাকে ঐ নম্বর থেকে ফোন করে এবং এস এম এস মাধ্যমে তারা টাকা দাবি করছে। টাকা না দিলে আমার ভাই ও আমাকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে। আমার পরিবার ও আমি আতংকের মধ্যে আছি।’
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মেহেদী হাসান জানান, ‘২৬ মার্চ এরপরে শহিদুল আর মাদ্রাসায় আসেনি। আমরা জানতে পেরেছি তিনি নিঁখোজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কেউ তাকে অপহরণ করেছে।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ভূইয়া জানান, ‘দেশে সাগর রুনি মার্ডারের কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। সালাউদ্দিনের মত নেতা নিঁখোজ হলেও পাওয়া যায় না। সেখানে আমরা কি করতে পারি।’
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল-আমিন জানান, আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ঐ নম্বরের সিডিআর এর জন্য আবেদন করেছি। সিডিআর পেলেই অপহৃতর অবস্থান নিশ্চিত করা যাবে। শহিদুলকে খুজে বের করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
(এএ/পিবি/ এপ্রিল ১১,২০১৫)