স্টাফ রিপোর্টার : প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর অপসারিত এপিএস সত্যজিত মুখার্জি ও বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম মিয়া বাবুর অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেয়।

জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জমান বলেন, ‘সত্যজিত মুখার্জি ও মোকাররম বাবুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তাও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’

দুদক সূত্র জানায়, সত্যজিত মুখার্জির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করবেন দুদকের উপ-পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন। মোকাররম বাবুর বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আরেক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেনকে।

দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ আছে সত্যজিত মুখার্জির বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে ফরিদপুর ও ঢাকায় চারটি মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। দালিলিক প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর গত ১৬ এপ্রিল সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) পদ থেকে সত্যজিত মুখার্জিকে সরিয়ে দেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গত ১৭ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাকে।

এছাড়া মোকাররম মিয়া বাবুর বিরুদ্ধেও আছে দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ধর্ষণের মতো অপরাধের বহু অভিযোগ। গত এক সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় পাঁচটি চাঁদাবাজি ও একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। সোমবার ফরিদপুর মাচ্চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন সান্টুর করা চাঁদাবাজি মামলায় তাকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফরিদপুর ১নং বিচারিক হামিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার রমনা থানা পুলিশ একটি চাঁদাবাজি মামলায় তাকে আটক করেছিল। পরে তাকে ফরিদপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

(ওএস/অ/এপ্রিল ২৭, ২০১৫)