যশোর প্রতিনিধি : যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২৯ এপ্রিল বুধবার। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা কমিটি প্রার্থী প্রত্যাহার নিয়ে নাটক করেছেন। এদিন প্রত্যাহারের শেষ সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত হলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কতজন প্রার্থী প্রত্যাহার করল তা নিশ্চিত করতে পারেনি চেম্বার কর্তৃপক্ষ। চেম্বারের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা মুরাদ আলী সাংবাদিকদের মিথ্যাচার করে তথ্য না দিয়েই অফিস বন্ধ করে চলে যান।

তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে সমঝোতার ভিক্তিতে এবার ১৮টি পদের বিপরীতে ১৮ জন প্রার্থী হয়েছেন। মোট ৭১টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হলেও বুধবার প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৫৩ জন প্রার্থী। যা নজীরবিহীন। অর্থ্যাৎ সমঝোতার ধোঁয়া তুলে ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হলো যশোর চেম্বার অব কমার্সের। আগামী ১৬ মে ৬ মাস পর যশোর চেম্বারের ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮টি পদের বিপরীতে মোট ৭১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। বৃহস্পতিবার (৩০) প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেলের ৭১ জন নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৫৩ জনই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়। যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান, নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল না থাকায় আমার নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সমস্যরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন পরিচালন কমিটির আহবায়ক যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফের কাছে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা হয়তো বা প্রকাশ করা হবে। না হবার সম্ভাবনা আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

এদিকে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুর রহমান তোতন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যশোর চেম্বার অব কমার্সের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠনকে রাজনীতির বিষাক্ত ছোবল দিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৪ ব্যবসায়ী নেতাকে আটক করে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। অন্য প্রার্থীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এমতাবস্থায় জেলা বিএনপি যশোর চেম্বারের নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছে। বিএনপি সমর্থিত কেউ যদি এই নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে তার দায়দায়িত্ব বিএনপি নেবে না।

(জেকেএম/এএস/এপ্রিল ৩০, ২০১৫)