বরগুনা প্রতিনিধি : কালবৈশাখী ঝড় ও ভূমিকম্পে বরগুনা সদর উপজেলার ক্রোক কেরামতিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাউনি উড়ে গেছে, দেয়ালে ফাটল ধরায় খোলা আকাশের নিচে চলছে ক্লাস। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পরেছে শিক্ষার্থীরা। ঠিকমতো ক্লাস না হওয়ায় সামনের পরীক্ষা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিবাবকরা।

জানাগেছে, গত ২৩ এপ্রিল রাতের কালবৈশাখী ঝড় ও ২৫ এপ্রিল দুপুরে ভূমিকম্পে বরগুনা সদর উপজেলার ৮নং ইউনিয়নের ক্রোক কেরামতিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার আধা-পাকা দু'টি স্কুলের চাউনি উড়ে যায় এবং দেয়ালে ফাটল ধরে। বর্তমানে মাদ্রসার অবস্থা এতটাই ঝুঁকিপূর্ন যে কোন সময় ধ্বসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রানহানি ঘটতে পারে। এ অবস্থায় প্রথম থেকে দশম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মাদ্রাসা কক্ষে ক্লাস চালানো অসম্ভব হয়ে পরেছে বলে জানায় শিক্ষরা।

তাই শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসার খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করানো হচ্ছে। মাথার উপরে ছাউনি না থাকায় করা রোদে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়াও যখন তখন হঠাৎ করেই কালবৈশাখী ঝড়ের আগমন ঘটার আতঙ্ক নিয়ে পড়াশুনা করছে তারা। এতে সামনের পরীক্ষা গুলো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

ক্রোক কেরামতিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্র সজিব বলেন, আমরা প্রতিদিন ২ কিলোমিটার পায়ে হেটে মাদ্রাসায় আসি। নিশ্চিন্তে ক্লাশ করতে পারি না। ভয়ে থাকি কখন যেন মাথার উপর টিনের চালটি ধ্বষে পরে।

১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের মাদ্রাসাটির ছাউনি উড়ে যাওয়ায় রোধ-বৃষ্টি দুটোই আমাদেকে ভোগ করতে হয়। বৃষ্টির পানিতে বই খাতা এমনকি নিজেরাও ভিজে যাই।

মাদ্রাসা সুপার কে.এম.মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের মাদ্রাসার ছাউনি উড়ে গেছে, দেয়ালে ফাটল ধরেছে এ সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। দাখিল মাদ্রাসার অবকাঠামোগত সমস্যা দূর করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাগব করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।

এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার সুকুমার রায় মুঠো ফোনে জানান , আমরা দরখন্ত পেয়েছি এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পাঠিয়ে দিয়েছি সে ব্যবস্থা নিবেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহিরুল ইসলাম জানান, আমি দরখস্ত পেয়েছি অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবো।

(এমডি/অ/মে ০২, ২০১৫)