ফরিদপুর প্রতিনিধি  : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফরিদপুরের চর টেপাখোলা মুন্সীডাঙ্গী গ্রামের শামসুল হক মীর মালত দম্পতি হত্যা মামলায় একই গ্রামের দুই জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত।

জোড়া খুনের জন্য প্রত্যেক আসামিকে দুইবার করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে একটি কার্যকর হলে অন্যটি কার্যকর হয়না।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নজরুল ইসলাম ও সুজন ব্যাপারী।

অপর অসামি মীর মো. তানভীর ওরফে খসরুকে যাবজ্জীবনসহ বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মৃত শামসুল হক মীর মালত আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডাব্লিওটিএ) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

রায় ঘোষণার আগে ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুর ফরিদপুর শহরতলীর চর টেপাখোলার মুন্সীডাঙ্গী গ্রামের মালত পাড়ায় শামসুল হক মীর মালত (৭০) ও তার স্ত্রী নারগিছ নাহার বেগম ওরফে শেলী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ দম্পতিকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র ছেলে কামরুল আহসান মাসুদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত। রায়ের পর পর তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, হাইকোর্টের মাধ্যমে এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়।

ঘটনাটি তদন্ত করে র‌্যাব-৮’র এএসপি মো. কামাল উদ্দিন গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি সুজন ব্যাপারী, নজরুল ইসলাম ও মীর মো, তানভীর রহমান ওরফে খসরুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। রায় শোনানোর জন্য তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে সাজা পরোয়ানা দিয়ে ফের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা, ওসমান গণি ভুইয়া ও সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পিপি মাহফুজুর রহমান লিখন।

আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন খন্দকার ও ফারুক আহমেদ।


(এসডি/পিবি/মে ১২,২০১৫)