ভাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব ভূইয়ার পক্ষের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সরোয়ার হোসেনের পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। এসময় সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে আতঙ্কে তুজারপুর গ্রামের রশিদ মাতুব্বর (৭৫) নামক এক ব্যক্তি মারা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে।

এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবত দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত দুই বছরে বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গত কয়েকদিন যাবত দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোহবার ভূইয়ার দলের মান্নান মিয়ার ছেলে তুজারপুর এস,এ একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্র ইমরান হোসেনকে (১৪) বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সরোয়ার হোসেনের দলের হাসেম মাতুব্বরের ছেলে রেজাউল (৩৫) ও টুকু মাতুব্বরের ছেলে পলাশ (৪০) মিলে মারধর করে। ইমরান কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহুর্তের মধ্যে দুই পক্ষ ঢাল, সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ ঠেকাতে এসে সোহরাব ভুইয়ার পক্ষের রশিদ মাতুব্বর (৭৫) ঘটনাস্থলে মারা যায়।
এবিষয়ে সোহরাব ভূইয়া ও সরোয়ার হোসেন দুজনেই সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রশিদ মাতুববর হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি কোন আঘাত পাননি।
তবে তাদের কথা নাকচ করে দিয়ে স্কুল ছাত্র ইমরানের পিতা মান্নান মিয়া বলেন, আমার চাচাতো ভাই রশিদ মাতুব্বর সংঘর্ষ ঠেকাতে এসেছিল। এসময় ঠেলা ধাক্কায় তিনি মারা যান।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে মসজিদ থেকে বের হয়ে সংঘর্ষ থামাতে গেলে রশিদ মাতুব্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
(এডি/পিবি/মে ১২,২০১৫)