নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে এবার বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে । বর্তমানে বাদামের বাজারও ভালো থাকায় বাদামের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশা করছে এলাকার অনেক বাদাম চাষী। এ মৌসুমে রানীনগর উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে। উপজেলার মিরাট গ্রামে বাদাম চাষ বেশি হয় বলে এই গ্রামটি বর্তমানে বাদাম চাষের গ্রাম বলে পরিচিত।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এবার আবহাওয়া বাদাম চাষের অনুকুলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার বাদাম চাষীরা ও কৃষি বিভাগ। এলাকার বাদাম চাষীরা জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ হারে (১ মন=৪০ কেজি) বাদাম উৎপাদন হয়। বাদামের বাজার ভালো থাকলে শুকনো কাঁচা বাদাম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা মন (৪ কেজি) দরে বিক্রি হয়। প্রতি বিঘাতে বাদাম চাষ করতে মোট খরচ হয় ২থেকে ৩হাজার টাকা। এতে খরচ বাদে দ্বিগুন লভ্যাংশ পাওয়া যায় বলে এলাকার অনেক চাষী এবার বাদাম চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে বলে তারা জানান।
মিরাট গ্রামের বাদাম চাষী তাহের উদ্দিন (৫৮) জানান, তিনি এবার প্রায় ৫বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাদাম গাছ তেমন কোন রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত না হওয়ায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। বাদাম চাষী আক্কাস আলী (৩৮) জানান, তিনি এবার প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮মণ হারে বাদামের ফলনের আশা করছেন তিনি। নজরুল ইসলাম (৪০) জানান, দীর্ঘদিন যাবত তিনি বাদামের চাষ করে আসছেন। বাদাম চাষে কম খরচে অধিক লাভ করা যায় । গম, সরিষা তুলেই এই বাদামের চাষ শুরু হয়ে জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাদাম উঠানো শুরু হয়।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, এবার আবহাওয়া বাদাম চাষের অনুুকুলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। কম খরচে অধিক লাভ পাওয়ায় এলাকার কৃষকরা বাদাম চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছে। তাই বিগত বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় রের্কড পরিমাণ জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে।
(বিএম/পিবি/মে ১৭,২০১৫)