বাগেরহাট প্রতিনিধি : নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, জিয়াউর রহমান যখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখন তিনি মানুষও খুন করেছেন, নদীও খুন করেছেন। মানুষ খুন করা আর নদী খুন করা এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। নদীরও একটা প্রাণ আছে।

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখন তিন শতাধিক খাল বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে লিজ দেয়া হয়েছিল চিংড়ি ঘের ব্যবহার করার জন্য। তিনি এই কাজটি না করলে আজ এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আমরা এই নদীখাল উদ্ধার করার জন্য খনন কাজ শুরু করি। এখন আমাদের এই সব নদীখাল উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রবিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মংলা-ঘষিয়াখালী নৌচ্যানেলের খনন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, পরীক্ষামূলক নৌপথটি চালুর পর প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি নৌযান চলাচল করছে। এই পর্যন্ত পাঁচশ'রও ওপরে নৌযান চলাচল করেছে। আগামী জুনে মংলা ঘষিয়াখালী নৌপথটির খনন কাজ শেষ করে পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আবারও আশা প্রকাশ করেন।

জুন মাসে এই পথটি পুরোপুরি চালু হলে সুন্দরবনে শেলা নদী দিয়ে আর মংলা বন্দরের জাহাজ চলাচল করবে না। এতে করে সুন্দরবন রক্ষা পাবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর চাপ কমবে।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ আত্মগোপণে থেকে তালেবানি কায়দায় দলের নামে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে দেশের মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করতে উৎসাহিত করেছেন। এই কারনে দেশের শত শত নিরীহ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তাই তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব:) মো. রফিকুল ইসলাম এমপি, সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, রণজিত রায় এমপি, এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, আনোয়ারুল ইসলাম আনার এমপি, মমতাজ বেগম এমপিসহ বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

(একে/পিএস/মে ১৭, ২০১৫)