বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে ছোট ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার নিয়ে শংকিত বড় ভাই। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার  দাবি জানিয়ে সোমবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বড় ভাই শরণখোলার পুর্ব রাজাপুর গ্রামের মোঃ জাকির হোসেন মুন্সি।  
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, শরণখোলার রাজাপুর গ্রামের নুরু আকন, আমিনুল আকন (পিঞ্জু), মুকুল আকন, পারভেজ আকন, হাফিজ আকন, সোহেল আকন, রবিন কর্মকার, আলামিন হাওলাদার, মিজান হাওলাদার,আলামিন খান, শহিদুল ফরাজীসহ এদেরু সহযোগীরা তার ভাই দুলাল মুন্সিকে হত্যা করে।

লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের ১৫ মার্চ। আমার পিতা আনোয়ার হোসেন তার কয়েক ছেলেকে নিয়ে সকালে উপজেলা নির্বাচনের ভোট দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় দিয়ে হাটছিলেন। এসময় ওই সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের গতি রোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আর্তকিতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এবং সকলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ছিনিয়ে নেয় কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা। তাদের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। তার পরও পাষন্ডরা বেধড়ক তাদের পেটাতে থাকে। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলেও তাদের নিভৃত্ব করতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় গুরুতর আহত আমার ভাই দুলাল হোসাইন মুন্সিকে উন্নত চিকিৎসা করিয়েও তাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ সময় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল সে মারা যায়।
তিনি উল্লেখ করেন, আমার নিহত ভাইয়ের বিচারের জন্য শরণখোলা থানায় মামলা করার চেষ্টা করেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে পারিনি। সন্ত্রাসীরা হুমকী দিয়ে বলেছে বেশি বাড়াবড়ি করলে আমার পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জীবনে শেষ করে দেয়া হবে। বংশে বাতি দেয়ার কেউ থাকবে না। ছেলে হারিয়ে পাগল প্রায় আমার পিতা নিরুপায় হয়ে গত মাসের ২০ তারিখ বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এসব সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বেড়াচ্ছে আনোয়ার মুন্সির পরিবারকে এলাকা থেকে উচ্ছেন করা হবে।
বর্তমানে আমাদের বাড়িতে আমার বৃদ্ধ পিতা ও আমার আম্মা আছেন। আমরা সবকটি ভাই এলাকা ছেড়ে যাযাবরের মত পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তিনি প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট ভাই হত্যাকারীদের বিচার ও বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করতে পারার জন্য আশুস্থক্ষেপ কামনা করছেন।
(একে/পিবি/মে ১৮,২০১৫)