নওগাঁ প্রতিনিধি : হয়রানী ও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে গ্রেফতারকৃত শহরের জমিলা রোগমুক্তি ক্লিনিকের পরিচালক এমএম জাহেদুল ইসলামের মুক্তি এবং নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোজাহার হোসেন বুলবুল ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট জুনায়েদ কবির সোহাগের অপসারনের দাবীতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে নওগাঁ জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন।

অন্যথায় জেলার সকল বে-সরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিকসমুহ চিকিৎসা সেবা থেকে বিরত থাকবে এবং পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত রাখার ঘোষনা দিয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষনা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এএস রেজাউল মাহমুদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান ও গ্রেফতারকৃত জাহেদুল ইসলামের কন্যা জাকিয়া সুলতানা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৫ মে (শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় পরিদর্শনের নামে সিভিল সার্জন জমিলা রোগমুক্তি ক্লিনিকে গিয়ে ক্লিনিক মালিকের কন্যাসহ ষ্টাফদের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরন করেন। সেখানে কোন সুবিধা করতে না পেরে এক পর্যায় ম্যাজিষ্ট্রেট জুনায়েদ কবিরকে ডেকে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে জাহেদুল ইসলাম, তার মেয়ে জাকিয়া সুলতানা ও ওয়ার্ডবয় মমিনুর ইসলামকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। এর পর লাইসেন্সধারী ওই ক্লিনিকে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে এমএম জাহেদুল ইসলামকে ৩ মাসের জেল দিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। অথচ লাইসেন্সবিহীন ও অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জনকে একাধিকবার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েও তিনি রহস্যজনক কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। সাংবাদিকদের সামনে ওইদিনের সিভিল সার্জনের মুখ খিস্তী ও গালাগালির বর্ণনা দিতে গিয়ে জাহেদুলের কন্যা জাকিয়া সুলতানা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডা. জ্যাকি, সদস্য ডা. আজিজুল আলম, ডা. ইস্কেন্দার, ডা. জিয়াউল হক, জাহেদুলের ছোটভাই বাবুল আখতার, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(বিএম/এসসি/মে২০,২০১৫)