বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের ভোলা নদীর চরে তলাফেটে ডুবে যাওয়া সারবাহী লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাভালে নূরকে ১৫ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি জেলা প্রশাসন ও মালিক পক্ষ। তবে জাহাজের ভেতর থাকা পানি মিশ্রিত পটাশিয়াম সারসহ সকল মালামাল অপসারণ করা হয়েছে।

জাহাজটি উদ্ধারের জন্য শুক্রবার সকালে ঢাকা ও বরিশাল থেকে রূপসী বাংলা ও ওয়েস্ট্রান নামের দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে এসে পৌছেছে। শনিবার সকাল থেকে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ জাভালে নুরকে লোকালয়ে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন ।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাদঁপাই রেঞ্জের এসিএফ কামাল উদ্দিন বরেন, সুন্দরবন বিভাগ নিজস্ব শ্রমিক নিয়োগ করে পানি মিশ্রিত পটাশিয়াম সার অপসারন করতে সক্ষম হয়েছি। তবে বর্তমানে জাহাজটিকে সরিয়ে নিতে মালিক পক্ষ শুক্রবার ঢাকা ও বরিশাল থেকে রূপসী বাংলা ও ওয়েস্ট্রান নামের দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ নিয়ে এসেছে। আমাদের কর্মীরা সেখানে বিষয়টি তদারকি করছে।

ডুবে যাওয়া সারবাহী লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাভালে নূরের মালিক আমিনুল ইসলাম বাবুল বলেন, ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে পলি পড়ে আরও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব জাহাজটি উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সারবাহী জাহাজ ডুবে যাওয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছি।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ডুবে যাওয়া জাহাজের আনুসাঙ্গিক মালামাল অপসারন করা হয়েছে। শনিবার থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধার করে লোকালয়ে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আশা করছি চ্যালেনটি উম্মুক্ত করতে জাহাজটি ৩-৪ দিনের মধ্যে মালিক পক্ষ উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করবে।

প্রসঙ্গত. এমভি জাভালে নূর নামে লাইটারেজ জাহাজটি মংলা বন্দর থেকে এমওপি সার (পটাশিয়াম) নিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি যাচ্ছিল। ৩ মে ওই জাহাজটি বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর চরে আটকা পড়ে। এর দুইদিন পর ৫ মে কার্গো জাহাজটি তলা ফেটে ডুবে যায়।

(একে/এএস/মে ২২, ২০১৫)