নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে উপজেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপে ২ ছাত্র ও ২ ছাত্রীসহ ৪ শিক্ষার্থী বাল্য বিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার উপজেলার চহেড়া আলাদীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র কবির (১৪) এর সঙ্গে একই গ্রামের শওকত আলীর কন্যা স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ফাহিমা খাতুন (১৩) এবং ওই গ্রামেরই আবু জাক্কারের পুত্র স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র আবু জার (১৫) এর সঙ্গে একই গ্রামের আজিজুল হকের কন্যা ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী খাদিজার পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়।

সে অনুয়ায়ী ঐদিন সকাল থেকে বিয়ের সকল প্রস্তুতি চলতে থাকে বর-কনের বাড়িতে। কনের বাড়িতে বর পক্ষ বরযাত্রী বেশে চলে আসে। শুরু হয় বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠানসূচি।

এরই মধ্যে গোপন সংবাদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন মিঞা বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসারকে বিয়েগুলো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেন।

নির্দেশ পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে দুপুর ২টার দিকে বিয়ে বাড়িতে পৌছে বিয়ের সকল অনুষ্ঠানাদি বন্ধ করে দেন।

পরে সেখানে উপস্থিত বর ও কনে পক্ষের লোকজন ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ছেলে-মেয়ের অভিভাবকদের বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অবশেষে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সু-পরামর্শে ছেলে-মেয়ের অভিভাবকগণ বাল্য বিয়ের কুফল বুঝতে পেরে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল কাজ আর করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করে বিয়ের সকল কাজ বন্ধ করে দেন।

উপজেলা প্রশাসনের সঠিক সময়ে সঠিক হস্তক্ষেপে চার-চারটি জীবন বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়ে পুনরায় শিক্ষা জীবনে ফিরে গেলো।

(বিএম/পিএস/মে ২৩, ২০১৫)