স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে সফররত চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানদং বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অনেক ধরনের সফল নীতিমালা গ্রহণ করেছে। চীনও বাংলাদেশের এ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে উপকৃত হতে পারে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সোমবার সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় চীনের শিক্ষামন্ত্রী জুয়ান গুইরেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লিউ ঝেনমিং, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ডিং উই, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় স্পিকার বলেন, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে। মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, শিশুমৃত্যুহার হ্রাস, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, জেন্ডার সমতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, তৈরি পোষাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। নারীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এই সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাই সরকার তাদের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান, আবাসিক সুযোগ সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করে চলেছে।

স্পিকার আরো বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে চীন এ দেশের শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও শিরীন শারমিন চৌধুরী উল্লেখ করেন। দুই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতার সম্পর্ক আগামীতে বাংলাদেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী রপ্তানী বাণিজ্যসহ সকল প্রকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের অব্যাহত সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

তিনি বলেন, চীন শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন সেক্টরে সহায়তা প্রদান করে চলেছে। ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চীন বাংলাদেশকে অব্যাহত সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি। চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এ সময় বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধির অশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের অব্যাহত সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানদং।

(ওএস/এএস/মে ২৫, ২০১৫)