স্টাফ রিপোর্টার :অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জানিয়েছেন,আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য রিকন্ডিশন হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত মোটর গাড়ি আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে ।
তিনি বলেন, ‘রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ি আমদানির দাবি অনেক দিনের। চিন্তা করছি এবার সুযোগটি দেবো। দিয়ে দেখা যেতে পারে।’

সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিকল ইমপোর্টার্স এন্ড ডিলার্স এসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতৃবৃন্দের সাথে এক প্রাকবাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বারভিডা সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ শরীফ, সাবেক সভাপতি আব্দুল হক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। এ জন্য জ্বালানী সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে মনোযোগি হওয়া ভালো।

বৈঠকে বারভিডা সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ শরীফ রিকন্ডিশন হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত মোটর গাড়ি আমদানির সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট ও পরিবেশ দূষণকে বিবেচনায় রেখে বর্তমানে জাপান হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত মোটর গাড়ি বাজারজাত করছে। রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ দিলে জ্বালানী তেল সাশ্রয়ের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরা এই গাড়ি ক্রয় করার সুযোগ পাবেন।

পরে অর্থমন্ত্রী ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র নেতৃবৃন্দের সাথে এক প্রাকবাজেট আলোচনায় মিলিত হন। ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলাদেশে এর মূল্য সন্বয়ের প্রস্তাব দেন। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয় করার ইঙ্গিত করে বলেন,‘এটা ঠিক আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের মূল্য কমলেও আমরা এখনও এর দাম কমায়নি। তবে এটা অব্যশই সমন্বয় করতে হবে। তবে আমাদের মনে রাখতে আমাদের ট্যারিফ মূল্য যথেষ্ট কম। সব দেশে ব্যারেল প্রতি ৫০ ডলার ট্যারিফ হলেও বাংলাদেশে মাত্র ৩০ ডলার। জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের আগে ট্যারিফ মূল্য সমন্বয় করতে হবে।’

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দেশে তেলের মুল্য ১০ শতাংশ বেশি হলে এর দাম সমন্বয় করার ইচ্ছা ছিলো। আমরা ট্যারিফ মুল্য সমন্বয়ের বিষয়টি ধীরে এগুচ্ছি। জ্বালানি তেলের বিষয়টিও চিন্তা করছি।

১৬ সিসিসি অনুসারে কোম্পানি শ্রেণীর করদাতাদের জন্য বর্তমান উৎসে কর শুণ্য দশমিক ৩০ শতাংশ হ্রাসের প্রস্তাবের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে মুহিত বলেন, এই হারে উৎসে করহার আরো কিছুদিন চলবে। এখনই এই ১৬ সিসিসি ধারা বিলোপ করা যাবে না।

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি ব্যক্তিশ্রেণীর সব করদাতাদের জন্য ট্যাক্স কার্ড প্রদান ভাল প্রস্তাব বলে অভিহিত করেন। বলেন, এটি অনেক বড় কাজ। এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে সব করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড দিতে পারলে ভাল হয়।

ডিসিসিআই নেতৃবৃন্দ ব্যক্তিশ্রেণীর করমূক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন।

(ওএস /এসসি/মে২৫,২০১৫)