স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো অবৈধ বিলবোর্ড থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মো. আনিসুল হক।

অবৈধ বিলবোর্ড ভেঙে ফেলতে সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সব মহলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার গুলশান লেডিস ক্লাব সংলগ্ন রাস্তায় বর্জ্য ও জলাবদ্ধতা পরিদর্শনে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।

অবৈধ বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে মেয়র বলেন, সোমবার রাতে সামান্য বৃষ্টিতে অসংখ্য অবৈধ বিলবোর্ড ভেঙে পড়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকার দু’তৃতীয়াংশ বিলবোর্ড অবৈধ। এ অবৈধ বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে।

নগরীর জলাবদ্ধতার জন্য ওয়াসাকে দায়ী করে মেয়র বলেন, আধাঘণ্টা বৃষ্টিতে সারা শহর প্লাবিত হয়েছে, এতে আমি অস্বস্তিতে আছি।

আনিসুল হক বলেন, গুলশান এলাকায় ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ লাইন না থাকায় জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। এর জন্য দায়ী ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্যান্য এলাকায়ও ওয়াসার সুয়ারেজ লাইন পর্যাপ্ত না থাকায় ওয়াসাকেই দোষারোপ করলে নবনির্বাচিত মেয়র।

নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে ওয়াসার সঙ্গে সিটি করপোরেশন যৌথভাবে কাজ করবে বলে ইচ্ছা পোষণ করেন আসিনুল হক।

ওয়াসার সঙ্গে ডিসিসি’র কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেয়র বলেন, সমন্বয় করে কাজ না করলে উন্নয়ন হবে না। সিটিতে ওয়াসাসহ সব সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করতে এগিয়ে আসতে হবে।

সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও শহরকে সুন্দর করতে ২ বছরের জন্য ২-৩ কাঠা সরকারি জমি চাইলেন মেয়র।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, নগরীর যানজটের পুরো দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের নয়। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হলো- সড়কে আলো জ্বালানো, রাস্তা পরিস্কার রাখা এগুলো নিয়েই বেশি কাজ করে।

সবার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ না করলে কোনটাই সম্ভব না। তবে সরকারের সব সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করতে সরকারের সহায়তা দরকার বলে জানান আনিসুল হক।

এসময় ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান উপস্থিত ছিলেন।

পরে মেয়র ডিএনসিসির ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ডের বর্জ্য, জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যা পরিদর্শনে যান।

(ওএস/পিবি/মে ২৬, ২০১৬)