নওগাঁ প্রতিনিধি : শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে গিয়ে নওগাঁর রাণীনগরে ২৫ দিনেও নিখোঁজ যুবক জুয়েল হোসেনের(৩০) সন্ধান মেলেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও সন্ধান না পাওয়ায় তার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন রাণীনগর থানায় একটি জিডি করেছেন।

এদিকে শনিবারের জনকন্ঠে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে ওইদিনই দুপুর ১২ টা ৩৬মিঃ ২৫ সেঃ ০১৯১০-৮৪২৮৩৪ নং মোবাইল থেকে নিজেকে জাকির হোসেন, জনকন্ঠের পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সংবাদদাতা পরিচয় দিয়ে এই প্রতিনিধির কাছে ফোন করে। সে জানায়, রানীনগরের নিখোঁজ জুয়েল মুমূর্ষু অবস্থায় মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। তার আত্মীয়স্বজনকে খবর দিলে তারা যেন এসে তাকে নিয়ে যায়। বিষয়টি মানবিক কারণে তাৎক্ষনিক রানীনগর থানার ওসিকে জানালে, তিনি ওই নম্বরে কথিত জাকিরের সঙ্গে কথা বলেন এবং জুয়েলের পরিবারে খবর দেন। ওইদিন রানীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল জব্বারও ওই নম্বরে ফোন করে সেই জাকিরের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে রবিবার জুয়েলকে আনতে যাবার প্রস্তুতি নেয়ার পর ওইদিন থেকেই সেই জাকিরের মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। কেউ আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনা। এদিকে জনকন্ঠের ঢাকা অফিস ও পটুয়াখালির নিজস্ব সংবাদদাতা মোকলেছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় জনকন্ঠের কোন সংবাদদাতা নেই। ওই মোবাইলটা কোন প্রতারক চক্রের হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
জুয়েল ইসলামের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন জুয়েল নিখোঁজের সঙ্গে, তার স্ত্রী ও শ্বশুরের সম্পৃক্ততা আছে দাবি করে জানান, রাণীনগর উপজেলার সিংড়াডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জুয়েল হোসেন গত ৫ বছর পূর্বে বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার ছাতনী গ্রামের আজাদ হোসেনের মেয়ে কেয়া বেগম (২৫) কে বিয়ে করে। তখন থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই মনো-মালিন্য সহ নানান বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। মাস দুই আগে তার শ্বশুর ভরা শালিসে জুয়েলকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জুয়েল ইসলামের স্ত্রী কেয়া বেগম গত ২৬ এপ্রিল তার বাবার বাড়ি ছাতনী গ্রামে চলে যায়। ২/৩ দিন যাবত দেন-দরবারের শেষে কেয়া বেগমের স্বামী জুয়েল তার নিজস্ব টেম্পু নিয়ে গত ২ মে দুপুরে তার বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ি ছাতনী গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যথা সময় বাড়িতে ফিরে না আসায় এবং তার ব্যবহৃত নিজস্ব মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় শ্বশুর বাড়ি ছাতনী গ্রাম সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজা-খোঁজি করে তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় রাণীনগর থানায় একটি জিডি করা হয়।
রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জিডির সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিখোঁজ জুয়েলের সন্ধান পেতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
(বিএম/পিবি/মে ২৬,২০১৫)