স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিটি জন্মই হোক পরিকল্পিত, প্রতিটি প্রসব হোক নিরাপদ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে আজ পালিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতায় সবাই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সুন্দর জীবন ও সুস্থ সবল নবজাতকের জন্য নিরাপদ মাতৃত্বের বিকল্প নেই। এ জন্য প্রয়োজন গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন পরিচর্যা ও নিরাপদ প্রসব বিষয়ে সকল সেবা পরিকল্পিতভাবে নিশ্চিত করা।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, সরকার গত সাড়ে ছয় বছরে দেশের স্বাস্থ্যখাতের, বিশেষ করে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়নসহযোগী সংস্থাসমূহের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসসহ মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল করতে সক্ষম হবে।

সাম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা দেছে, ৫৫ শতাংশ মায়ের নিরাপদ মাতৃত্ব সুবিধা নিশ্চিত করতে পেরেছে সরকার। বাকি ৪৫ শতাংশ মা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। দেশে এখনো শতকরা ৬৮ ভাগ প্রসব বাড়িতে হয় এবং শতকরা ৩২ ভাগ প্রসব হয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবা প্রদানকারীদের মাধ্যমে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণায় দেখা যায়, দেশে গর্ভকালীন সময় শতকরা ১৪ জন মহিলাই নানাবিধ ঝুঁকিপূর্ণ জটিলতায় ভোগেন, যা মাতৃমৃত্যুর জন্য বহুলাংশে দায়ী। প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, খিচুনী, গর্ভকালীন জটিলতা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা ও পরিবারের অবহেলা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তবে শতকরা ৫১ ভাগ মৃত্যুই রক্তক্ষরণ ও খিচুনীর কারণে হয়ে থাকে। মাত্র শতকরা ৬৮ ভাগ গর্ভবর্তী মহিলা ১টি প্রসবপূর্ব সেবা এবং ২৬ ভাগ মহিলা ৪টি প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণ করে থাকেন।

এই সব দিক দিয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করতে ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে যথাযথভাবে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
(ওএস/পিবি/মে ২৮,২০১৫)