বরিশাল প্রতিনিধি : পানি উন্নয়ন বোর্ডের টাকা পানিতেই যায়। কাজের তুলনায় অর্থ বরাদ্ধ বেশি করলেও প্রকৌশলীদের অজ্ঞতার কারণে লাখ লাখ টাকার নির্মিত ব্লকে এখন পড়ে রয়েছে স্তুপ আকারে। এমন ঘটনা ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সা বন্দর রক্ষা প্রকল্প বাধে।

উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সা বন্দর রক্ষা প্রকল্পের জন্য ৩.৭৫ মিটার এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে ২০১১ সালে ২ কোটি ২৪ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকার কাজের টেন্ডার আহবান করে কর্তৃপক্ষ।
২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালের নিয়াজ ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ঠ পাউবো ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে কিনে রক্ষা বাধের কাজ করেন স্থানীয় বাগধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্রি। কার্যাদেশ পেয়ে ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদার কাজ পুরো শেষ না করেই সমুদয় বিল তুলে নেয়। দুই বছর আগে বসানো ব্লকের অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সেখানে ঠিকাদার কোন ব্লক পুন স্থাপন করেনি।
ওই সূত্র আরও জানায়, রক্ষা বাধের কাজ শেষের এক বছর পরে ক্ষতিগ্রস্থ ব্লক অপসারণ করে সেখানে নতুন ব্লক বসানোর কথা রয়েছে।
সিডিউল অনুযায়ি অনেক আগেই এক বছর অতিক্রান্ত হলেও ওই রক্ষা বাধের ক্ষতিগ্রস্থ ব্লক অপসারণ করে এখন পর্যন্ত সেখানে ব্লক বসানো হয়নি। ফলে ওই রক্ষা বাধ ও ষ্টক করা ব্লকের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের একজন প্রকৌশলী জানান, নির্মিত ব্লকগুলোতে শ্যাওলা পড়ে দীর্ঘ দিন যাবত ব্লকগুলো অযত্ন অবহেলায় পরে থাকায় তার স্থায়িত্ব অনেকটাই কমে গেছে।
এ ব্যপারে পাউবোর বরিশাল অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহম্মেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ব্লকগুলো ওই বাধেই দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই ব্লকগুলো দেয়া হলে দক্ষিণ পার্শ্বের খাল ভরে যাবে। তাই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অন্যত্র ব্লকগুলো ব্যবহারের নির্দেশনা পেলেই সেখানে ব্লকগুলো বসানো হবে। ব্লক বসালে খাল ভরে যাবে তবে কেন এই প্রকল্পে এত টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দেননি।
(টিবি/পিবি/জুন ০১,২০১৫)