বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এবার দুই সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক গৃহবধূকে (২৫) ধর্ষণ করেছে এক প্রতিবেশী।

ঘটনার ২ দিন পর মঙ্গলবার ভোরে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে হাওলাদার মিজানুর রহমান ওরফে খোকা চোরকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার বিকেলে বাগেরহাটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদের আদালতে খোকা চোর ওই নারীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছে।
তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বুধবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা ওই নারীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

হাওলাদার মিজানুর রহমান ওরফে খোকা চোর উপজেলার উত্তর ফুলহাতা গ্রামের আব্দুস সাত্তার হাওলাদারের ছেলে। গত ৩১ মে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর ফুলহাতা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার ২ দিন পর মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতার স্বামী মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত হাওলাদার মিজানুর রহমান ওরফে খোকাকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

ধর্ষিতার স্বামী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৩১ মে রাত ৮টার দিকে আমার অনুপোস্থিতিতে প্রতিবেশী মিজানুর রহমান ওরফে খোকা চোর আমার বাড়ির দোতলা ঘরের পিছন দিক দিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেতরে প্রবেশ করে।

ঘরে লোকের উপস্থিতি টের পেয়ে আমার স্ত্রী ডাক চিৎকারের চেষ্টা করলে আমার ছোট দুই সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার ভয় দেখালে আমার স্ত্রী ডাক-চিৎকার বন্ধ করে দেয়। পরে সে ধারালো অস্ত্রের মুখে আমার স্ত্রীকে জিম্মি করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আমার স্ত্রীর কানের দুল, আংটি ও বালাসহ মোট আড়াই ভরি সোনার গহনা নিয়ে সে পালিয়ে যায়।

এ সময়ে আমি ফুলহাতা বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। রাতে বাড়িতে ফিরলে আমার স্ত্রী ঘটনা খুলে বলে। লোকলজ্জার কথা চিন্তা করে বিষয়টি পুলিশকে জানাবো কি জানাবো না করে মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে থানায় যাই। পুলিশ ঘটনা শুনে মামলা গ্রহণ করে।

মোরেলগঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিকেলে বলেন, নিজের সম্মানহানির কথা চিন্তা করে ঘটনার ২ দিন পর ওই পরিবার পুলিশকে জানায়। তাদের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ভোরে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক খোকা চোরকে গ্রেপ্তার করেছি। ধর্ষিতা নারী ধর্ষককে শনাক্ত করেছেন।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খোকা চোর ওই নারীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে।

বিকেলে তাঁকে আদালতে পাঠানো হলে সে তার অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ধর্ষিতা নারীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মে বাগেরহাট সদর উপজেলার হেদায়েতপুর গ্রামে সাত বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।

(একে/পিএস/জুন ০৩, ২০১৫)