ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর শুক্রবার সকালে এক গ্রুপের সমর্থকদের বসতঘরে ব্যাপক হামলা চালিয়ে অন্তত ৫০টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সমর্থকরা।

উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খাড়দিয়া গ্রামে এই হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সকালে যদুনন্দী ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের সাথে উপজেলা আ’লীগের সদস্য নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুরের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে টুকু ঠাকুরের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘটনাস্থলে বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হয় বলে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।

এ হামলার ঘটনায় আলমগীরের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা মেসের মোল্যার পরিবারের ১০টি, নাসির ঠাকুরের ১টি, সবুজের ১টি, রাজ্জাক শেখের ৩টি, বাদশা শেখের ৩টি, আমজেদের ৪টি, ইউসুফ মোল্যার ৩টি, নজরুলের ১টি, মোতাচ্ছেরের ২টি, বজলুর ১টি, কাউছার শিকদারের ২টি, আজাহারের ১টি, আনোয়ারের ১টি, মিরাজের ১টি কাসেম মোল্যার ৫টি ও মোহাসিন মোল্যার ২টি ঘর সহ অন্তত ৫০টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রতিপক্ষ।

এ বিষয়ে আ’লীগ নেতা আলমগীর মিয়া বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মামাতো ভাই টুলু মিয়া ও শ্যালক ইলিয়াছ কাজী লোকজন নিয়ে আমার লোকজনের বাড়িঘরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করেছে। অন্যদিকে আ’লীগ নেতা টুকু ঠাকুর বলেন, আলমগীর মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কার্যকালাপ চালিয়ে আসছে। তাই এলাকাবাসী তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(এসডি/এএস/জুন ০৫, ২০১৫)