কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সরকারি হাটের টাকা হরিলুট হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০-৩৫ হাজার টাকা আদায় হলেও সরকারী রাজস্ব তহবিলে জমা হচ্ছে মাত্র ১৩-১৪ হাজার টাকা।

৩ দিনের স্থলে তাও জমা হচ্ছে ২ দিনের টাকা। এমন হরিলুট কান্ড ঘটলেও যেন দেখার কেউ নেই। বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার বেলায়েত হোসেন হাটের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের ম্যানেজ করার নামে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, মামলা সংক্রান্ত কারণে ভেড়ামারার ঐতিহ্যবাহী কুচিয়ামোড়া পান হাট সরকারী ভাবে খাজনা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। খাজনা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার বেলায়েত হোসেনকে। তিনি খাজনা আদায়ের টাকা হরিলুটে নেমেছেন।

ভুমি অফিসের ৪ জন কর্মচারী ছাড়াও তিনি ১০/১২ জন বহিরাগত লোক দিয়ে হাটের টাকা আদায় করছেন। খাজনা আদায়ের ব্যাপক অর্থ প্রতি নিয়তই লুটপাট হচ্ছে।

গত মাসের ১৪ এপ্রিল থেকে (১লা বৈশাখ) খাজনা আদায় শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই তহশিলদার সরকারী কোষাগারে জমা দেন মাত্র ১৫ হাজার টাকা।

পরবর্তীতে ১৮, ১৯ এবং ২১ এপ্রিল ৩ দিনের স্থলে ২ দিনের ২৬ হাজার টাকা জমা দেন। একদিনের সমুদয় অর্থই তিনি আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ ভাবে চলছে পুরো বৈশাখ মাস জুড়েই। কয়েক জন পান চাষী অভিযোগ করেন, প্রতি হাট বারেই দূর দুরান্তের পান চাষী সহ ৩০/৪০ হাজার লোকের আনা গোনা হয় এই হাটে। মানুষ সমাগম যত বেশী হবে হাটের আয় ও ততো বৃদ্ধি পাবে।

প্রতি হাটের দিনই কমপক্ষে আয় হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বৈধ ইজারাদার হাট চালালে এ আয় আরো বৃদ্ধি পেত।কিন্তু ভূমি অফিস বহিরাগত লোকদের দিয়ে টাকা আদায় করায় হরিলুট বেশী হচ্ছে।

এ ছাড়াও হাটের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করার নামে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করছে তহশিলদার বেলায়েত হোসেন। আর সরকারী কোষাগারে জমা দিচ্ছেন মাত্র ১৩/১৪ হাজার টাকা।

বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার বেলায়েত হোসেন ৩ দিনের স্থলে ২ দিনের টাকা জমা দেওয়া সহ মোটা অংকের টাকা হরিলুট প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, খাজনা আদায় হচ্ছে আমার এলাকায় অথচ আমি কাঠের পুতুল।

যা করছি ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসকের নির্দেশেই। আয়ের মোটা একটি অংশ রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের ম্যানেজ করার জন্য ব্যয় হচ্ছে।

(কেকে/জেএ/মে ১৮, ২০১৪)